অবতক খবর,৬ জানুয়ারি: ঘটনা দেখলে চমকে যাবেন! রাতের অন্ধকারেই দুষিত হচ্ছে পরিবেশ, সামান্য দুটো পেটের ভাত জোগাতে হয়ে উঠছেন অপরাধী।

নির্মল বাংলাই হোক বা স্বচ্ছ ভারত সফলতা চোখে পড়ে সকলের। আর বিফলতা তুলে ধরে সংবাদমাধ্যম । আজ নদীয়ার শান্তিপুরে এমন ঘটনা শোনাবো যা শুনলে রীতিমতন চমকে যাবেন আপনারা। ভাববেন উন্নয়নের বন্যার পলিতে তৈরি বাংলা, “মেরা দেশ মহান” ভারতের বাইরে বাস করছেন আপনি। চাঞ্চল্যকর ঘটনা ধরা পড়েছে আমাদের ক্যামেরায়। রাতের অন্ধকারে দিনের পর দিন বিভিন্ন নির্জন এলাকার পথের পাশে রীতিমতো বড় বড় ড্রামে করে নিয়ে এসে বাড়ির মল ফেলে যাচ্ছে রাস্তার পাশে। আর তার ফলেই দুষিত হচ্ছে পরিবেশ। কতিপয় মানুষের ঘৃণ্য মানসিকতার কারণে এমন ঘটনা হয়ে ওঠে খবরের শিরোনাম।

খুব সহজভাবেই হয়তো ধরে নিতে পারেন, যারা ফেলতে এসেছে তারা সাজা পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু আমাদের সংবাদমাধ্যমের ত্রিনয়ন দেখছে আরো গভীরে। দীর্ঘ লকডাউনে কর্মহীন হয়ে থাকা কিছু মানুষ হয়তো সাময়িকভাবে কঠিন শীতের মধ্যে, লোকসমক্ষে প্রকাশ না পাওয়ার জন্য গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে পরিবেশের কথা অতশত না ভেবেই , অস্বাস্থ্যকর ক্ষতিকারক অন্যের জমানো মল তার বাড়ি থেকে পরিষ্কার করার দায়িত্ব নিয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এ কাজ করতে বাধ্য করছে কারা?
আমাদেরই মত পড়াশোনা জানা, সচেতন কোনো নাগরিক নয় তো? একবারে ঠিক ধরেছেন, পৌরসভার মল নিষ্কাশন পরিষেবা থাকা সত্ত্বেও কেন চলছে অন্ধকারের রাতে এই ধরনের অসাধু কর্মকাণ্ড লাখ টাকার এই প্রশ্নের জবাব দেবে কে?

শান্তিপুর পৌরসভার উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় যেখানে সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা করছে প্রশাসন এই সমস্ত এলাকায় সেখানেই এমন বেআইনি কাজ চলছে রাতের পর রাত। রাতের অন্ধকারে মতিগঞ্জ মোড় থেকে শ্মশান রাস্তার ফিসারিতে এই অসাধু কাজ করার সময় পালানোর চেষ্টা করলেও মিডিয়াকর্মীর তৎপরতায় জানা যায় পুলিশ বা পৌরসভার তোয়াক্কা না করেই চালিয়ে যাচ্ছেন এমন কাজ। এ ব্যাপারে শান্তিপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক সুব্রত ঘোষ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এ বিষয়ে পৌরসভার কাছে কোন খবর ছিল না তবে সিসি ক্যামেরার তথ্য সংগ্রহ করে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের ডেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু এটাও তো ঠিক, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে সিসি ক্যামেরা লাগানো শহরের নিরাপত্তার কারণে। চুরি ছিনতাই হোক বা অপরাধ মূলক কোনো কাজ তা যদি ধরাই না যায়, তাহলে এত খরচ করে এত সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে লাভ কি? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আমজনতার মনে।