অবতক খবর , নরেশ ভকত, বাঁকুড়া :     রাতারাতি পোস্টারে ছয়লাপ শহরের মাচানতলা ও কালেক্টরেট গেট চত্বর। আর এই পোস্টারে উল্লেখ বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারের সাথে অবৈধ কয়লা সিন্ডিকেট যোগের অভিযোগ। এমনকি কয়লা সিন্ডিকেট থেকে মাসে ত্রিশ লাখ টাকা করে মাসোহারা নেওয়ারও অভিযোগ লেখা নজরে পড়ে এই পোস্টার গুলোয়। কয়েকটি পোস্টারে সাংসদের নার্সিং হোমে কোভিড রোগীর চিকিৎসায় লাখ টাকার বিলের কথাও লেখা রয়েছে।

সূত্রের খবর, প্রায় শ’খানেক এমন পোস্টার নাকি সাঁটানো হয় মাচানতলা ও তৎসংলগ্ন এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের তা নজরে পড়তে তারা সেগুলো ছিঁড়েও ফেলেন। এমনকি বিজেপির পক্ষ থেকে বাঁকুড়া সদর থানায় সাংসদের নামে পোস্টার সাঁটিয়ে কুৎসা রটানোর অভিযোগও জানানো হয় এবং দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবীও তোলা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।

অন্যদিকে,বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শুভাশিস বটব্যাল নিজেও শহরের কালেক্টরেট গেটের সামনে এটিএম কাউন্টারের পাশের দেওয়ালে এই পোস্টার দেখেন। তিনিও এই ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন। পাশাপাশি, তার সাফ জবাব, তৃণমূলের কেও এই পোস্টার কাণ্ডের সাথে কোন ভাবেই যুক্ত নয়।

এদিকে, সাংসদ সুভাষ সরকার তার বিরুদ্ধে এভাবে ভুয়ো অভিযোগ তুলে কুৎসা রটানোর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছেন। তিনি এও জানান এই ঘটনার জেরে থানায় দল অভিযোগও দায়ের করেছে।
পোস্টার কাণ্ডে বিজেপি ও তৃণমূলে চাপান উতোর চলছে।পোস্টার সাঁটানোর পর তা ছিঁড়েও ফেলা হয়েছে।

কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে এই ঘটনার নেপথ্যে আছে কারা? তৃণমূল যে এতে যুক্ত নয় তা সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা। তাহলে কি বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধ লবির একাংশ এই কান্ড ঘটিয়েছে? না এর পিছনে আর অন্য কোন সাংসদ অনুগামীদের হাত রয়েছে? এমন নানা জল্পনা চলছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। এখন দেখার, পুলিশ এই পোস্টার কাণ্ডের রহস্যভেদ করতে পারে কিনা? সেদিকেই তাকিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহল।