অবতক খবর,সংবাদদাতা, ১ লা জানুয়ারী, ২০২০, কলকাতা ::  জগদ্দল পাথরের মতো সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা দিতে জননেত্রী মমতা ব্যানার্জী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তৃনমুল কংগ্রেস। দেখতে দেখতে ২৩ বছর পেরিয়ে গেলো, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এর মধ্যে দিয়ে ২০১১ তে মহাকরণের দখল নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। আবার বাংলার ভাগ্যাকাশে অশান্তির কালো মেঘ, নাগরিক পঞ্জী কে কেন্দ্র করে, রাজ্যপাল লর্ড কার্জনকে মনে করাচ্ছেন নতুন বছরের শুরুতে বাংলাকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগের কথা। এই অস্থির সময়ে মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশে সারা বাংলা জুড়ে তৃনমূলের প্রত্যেক পার্টি অফিসে নাগরিক অধিকার রক্ষা করার জন্য পতাকা উত্তোলন ও অনুষ্ঠান করা হচ্ছে।

আজ কলকাতায় মূল অনুষ্ঠান টি হয় তৃনমূলের তপসিয়া ভবনে জাতীয় পতাকা ও তৃনমূলের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। আজকের সমগ্র অনুষ্ঠান টি পরিচালনা করে, রক্তক্ষয়ী পিটিটিআই আন্দোলনের সময় সিপিএমের বিরোধীতা করে রাজ্যের যুবসমাজের অন্যতম প্রতিনিধি হয়ে ওঠা অশোক রুদ্র। আজকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজ্যসভার সাংসদ ও প্রাক্তন আমলা মনীশ গুপ্ত। তৃনমূলের প্রথম দিন থেকেই দিদির হাত শক্ত করে ধরে রাখা নির্বিবাদী রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী তৃনমূলের পতাকা উত্তোলন করেন।

আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ ও চিকিৎসক ইউনিয়ন এর জাতীয় সভাপতি ডাঃ শান্তনু সেন, ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্ব ও সাংসদ দোলা সেন, সংখ্যালঘু সমাজের মুখ সাংসদ ইমরান ও বিধায়ক ইদ্রিস আলি প্রমুখেরা। শহীদ বেদীতে উপস্থিত নেতৃত্ব ও কর্মীরা মাল্যদান করেন। যুব তৃনমুলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র,মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে তৃনমূলের আন্দোলনের দিনগুলো আরেকবার সকলকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে নাগরিকদের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য NRC, CAA, NPR এর বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার আবেদন জানান।