অবতক খবর :দশটি শ্রমিক সংগঠনের ডাকে আজ দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের বেশ ভালই প্রভাব দেখা গেল রাজ্যজুড়ে। বাম ও কংগ্রেস যৌথভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক বিরোধী নীতি ও এন আর সি এস সি- এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ পালন করছে। বারাসাত চাপাডালি মোড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। বন্ধ্কে কেন্দ্র করে অটো বন্ধ করার চেষ্টা চালানো সমর্থনকারীরা অবশেষে তাদের সাথে হাতাহাতি ও গন্ডগোল বেঁধে যায় ও সমর্থকদের মধ্যে। পরে অটো চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ কিন্তু বন্ধ্ সমর্কারীরা চাপাডালির মোড় থেকে ব্যাপক পরিমাণে উপস্থিত হয়ে মিছিল করেন। এলাকায় ঘুরে ঘুরে দোকানপাট বন্ধ করে দেন বন্ধ করে দেন বাস চলাচল ও অন্যান্য যান চলাচল।

হৃদয়পুরে ট্রেনের লাইনের উপরে থেকে তিনটি বোমা উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালো। অবশেষে জিআরপি সেই বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করে। অন্যদিকে উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাতে হেলাবটতলার কাছেও রেললাইনের ওপর বোমা পড়ে থাকতে দেখাযায়। পুলিশ বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

হাওড়া ট্রেন চলাচল আটকে দেন বন্ধ সমর্থনকারীরা। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান তারা। পুলিশ জিআরপি মিলে তাদেরকে রেললাইন থেকে হটানোর চেষ্টা করে কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি।

ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন জায়গার ট্রেন আটকে দেন বন্ধ্ সমর্থনকারীরা। কংগ্রেস ও বামপন্থীরা যৌথভাবে ট্রেন অবরোধ করতে রাস্তায় নামেন। জায়গায় জায়গায় মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করেন বন্ধ্ সমর্থনকারীরা। ট্রেন অবরোধ করা হয় কাঁচরাপাড়া হালিশহর নৈহাটি শ্যামনগর ও ইচ্ছাপুরে।

বাঁকুড়াতে ও বিভিন্ন জায়গায় বাসস্ট্যান্ডে বন্ধের ব্যাপক সাড়া দেখা যায়। বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ থাকে। বন্ধে্র ভালো প্রভাব চোখে পড়ে।সমস্ত বাস বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারী ও বন্ধ্ সমর্থনকারীরা।

যাদবপুর রেল স্টেশনে বন্ধের সমর্থনে ট্রেন অবরোধ করা হয়। লাল পতাকাধারী বন্ধ্ সমর্থনকারীরা আপ ডাউন ট্রেন আটকে দেন জিআরপি ও আরপিএফ বন্ধ সমর্থকদের বোঝানোর চেষ্টা করে।

তবে কলকাতা বিমানবন্দরে বন্ধের তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। সাধারণ দিনের মতনই যাত্রীরা পরিষেবা সচল দেখতে পান। সমস্ত বিমান পরিষেবা ঠিকঠাক চলতে থাকে যদিও বন্ধ্কে সামনে রেখে কিছু সময় পূর্বেই বিমানবন্দরে পৌঁছে যান বিমানযাত্রীরা।

সরাসরি কলকাতায় ধর্মতলাতে কিন্তু বন্ধের প্রভাব দেখা গেল। বেসরকারি বাস মোটামুটি বেশি। সরকারি বাস পর্যাপ্ত সংখ্যায় থাকলেও যাত্রীরা তেমনভাবে সেই রাস্তায় নামেননি।

সেন্ট্রাল এভিনিউতে কংগ্রেস সমর্থনকারীরা বন্ধ্কে সফল করতে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তারা সাধারণত ট্রেন চলাচল ও যানবাহন চলাচল আটকে দেন। রাস্তার উপরে নেমে আসেন তারা‌ পুলিশ এসে জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন ও বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে হটিয়ে দেয় যদিও পুলিশ ও বন্ধ্ সমর্থকদের মধ্যে লুকোচুরি চলতে থাকে।

শিলিগুড়িতে তবে ব্নধের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। সাধারণ দিনের মতোনই যাতাযাত ছিল। স্বাভাবিকভাবেই তারা গন্তব্যে পৌঁছে গেছেন। রাস্তায় বাস ও বাহন বিভিন্ন ট্যাক্সি বাহন ভালই রাস্তায় লক্ষ্য করা গেল।

কোচবিহারে ও দেখা গেল বন্ধ সমর্থকরা রাস্তায় নেমে যত্রতত্র বাস ও বিভিন্ন বাহন আটকে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ যদিও ছুটে গেছে বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ মুক্ত করতে।

দুর্গাপুরে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান সমর্থনকারীরা্ এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করেন তারা। পুলিশের সাথে তাদের গন্ডগোল বাঁধে।

মালদহে বন্ধ সমর্থনকারীদের রাস্তায় নেমে ট্রেন অবরোধ করতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়,বিভিন্ন জায়গায় অবরোধকারীরা রাস্তায় নেমে বাসে ভাঙচুর চালান। যাত্রীদের নামিয়ে ভাঙচুর চালান তারা। পুলিশ মধ্যস্থতা করতে গেলে পুলিশের সাথে গন্ডগোল বাঁধে তাদের।

সব মিলিয়ে রাজ্যজুড়ে বিশৃঙ্খলা অবস্থা দেখা যায়। বন্ধকে সামনে রেখে কোথাও কোথাও প্রভাব না পড়লেও বেশিরভাগ কলকারখানা বাস-ট্রেন চলাচল করেনি।