অবতক খবর,২৩ আগস্টঃ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ মঙ্গলবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে একটা রাজ্যে চাকরি নেই টিচার পেনশন অফ এ সুইসাইড করে পুজোর নামে দান খয়রতি এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন,

পঞ্চায়েত ভোট দূরে আছে বর্তমানে যে বাচাও সাধুবাবা চলছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এ ধরনের দান খয়রাতি চলছে। আমারও ধারণা কোনো কারণে একটু ঢিলে হয়ে যায় ওপর থেকে তাহলে পুজোর পরে আমরা সব ভুলে গেছি ৫০০কোটি টাকা ৩০০কোটি টাকার গল্প বাঙালি সব ভুলে যাবে পুজোর আনন্দ করে ৬০ হাজার টাকার পুজোর আর ইলেকট্রিক বিল কম করে দিয়েছেন তাতেই আমরা খুশি যে লুট করছে লুঠ করুক ইলেকট্রিক বিল কম করে দেওয়া হয়েছে ভাববেন না যে কম হবে যারা পূজো দেখতে যাচ্ছে সেই সব মানুষের মাথা থেকে উসুল করা হবে।

২৯-৩০আগস্ট প্রশিক্ষণ শিবির চলবে বিলাসবহুল রিসোর্ট প্রশিক্ষণ যখন হয় বাইরে কোথাও হয় আমি বিলাসবহুল কথাটা আমার জানা নেই ,আমি যায়নি ।

সাংগঠনিক বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,যে বৈঠকে থাকার দরকার সে বৈঠকে আমি ছিলাম ওই বৈঠকে আমার থাকার কথা ছিল না। সুকান্ত মজুমদার বলেছেন দরজা বন্ধ হয়ে গেছে তাই উনি ঢুকতে পারেন। উনার হয়তো জানা ছিল না আমাকে একটা কোর কমিটির বৈঠকে ডাকা হয়েছিল সন্ধ্যা সাতটায় ছিল আমি একটু আগে গিয়েছিলাম দূর থেকে সমস্ত নেতারা এসেছিল আর সেই ছোট বৈঠক ছিল সেই বৈঠকে আমি অংশগ্রহণ করেছিলাম। সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে আমার বৈঠক ছিল।

গোয়া, ত্রিপুরা ভুলে গিয়ে অভিষেকের ফোকাস এখন জঙ্গলমহল উনার একজন নেতা টুইট করেছেন মহাজোট দরকার নেই মোদিকে হারাবার জন্য যে চেষ্টা করেছেন আমাদের নেত্রী সেটা সফল হয়নি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মাধ্যমে উনি কি রকম বিশ্বাসঘাতক সেটা সবচেয়ে জেনে গেছে দুর্ভাগ্যের বিষয় দেখুন মোদীকে টক্কর দেবে কে ?যে নেতার লিস্টে যার ১ নম্বরে নাম ছিল তার নাম কেটে গেছে এখন নীতিশ বাবুর নাম আছে কেজরিওয়াল যার একটাও একটাও এমপি নেই তিনি নাকি মোদিকে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রী হবে এরকম গল্প চলছে কিন্তু মমতা ব্যানার্জির নাম কেউ নিচ্ছে না হলে তিনি এই সুরে কটাক্ষ করেন।

১লা সেপ্টেম্বর বড় করে মিছিল ও ইউনেস্কো থেকে প্রতিনিধি আসছেন। ১১ দিনের ছুটি এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

লীলা মেলা খেলা যে বাংলায় চলে সেটা করেই বাংলা বাঙালিকে ভুলিয়ে রাখতে হবে বড় মিছিল করুন নাচ গান খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করুন আমরা কেষ্ট প্রার্থীর নাম ভুলে যাব কার বাপের টাকা গেছে আমার ৫০০ টাকা পেয়েছি আমি তাতেই খুশি পুজো করার জন্য ষাট হাজার টাকা পেয়েছি তাতেই খুশি।

 

তপন দত্ত খুনের মামলায় প্রতিমা দত্ত সিরিয়ায় তদন্তের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করেছেন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

আমি নতুন কিছু বলিনি কোর্ট একসময় অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে কোর্ট ভোট পরবর্তী হিংসায় তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিল সিবিআইকে তারাও হতাশার ব্যক্ত করেছে আমি পার্টির অত্যাচারিত কর্মী হিসেবে সেই কথাই তুলে ধরেছি।

আপনি কালকে বলেছেন বিজেপি কলকাতায় আসন পাবে না নির্বাচনে সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

বিজেপি কলকাতায় কবে সিট পেয়েছে আমি বলেছি কলকাতার লোক দুর্নীতি নিয়ে চিন্তা করেন না তারা নিজেদের সুবিধা নিয়ে চিন্তা করেন তারাও ভোট দিয়েই দুর্নীতিগ্রস্ত পার্টিতে জেতাবেন তারা সততা নিষ্ঠা ন্যায়ের প্রশ্ন নেই তারা নিজেদের সুবিধা নিয়ে থাকেন । এত বড় দুর্নীতি হচ্ছে তাই নিয়ে সারা বাংলায় আন্দোলন হচ্ছে কলকাতার আন্দোলন হয় না।

আমি যা বলি সত্য বলি কারোর খারাপ লাগলে দম থাকলে জিতিয়ে জিতিয়ে দিক। তারা দুর্নীতিগ্রস্ত জেনেও লোক তাদেরকে ভোট দিয়েছে আমি সেটাই বলেছি এখানকার বাঙালির ক্যারেক্টার বলেছি কালীঘাটের কাছে থাকে তাতেই আনন্দে আছি জল না থাক আলো না থাক রাস্তা না থাক চাকরি না থাক কোন যায় আসে না ৬০ হাজার টাকা পেলেই আমরা খুশি দুর্গাপুজো করবো নাচ গান করবো সব ভুলে যাব।

সিবিআই নিয়ে চরম প্রতিক্রিয়া গতকাল বিকেলের মন্তব্যে আপনি অনড় থাকছেন কি। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন.,

আমি রিপিট করি না যা বলি স্পষ্ট ভাবে বলি আমার কিছু করার নেই আমার অনেক বেশি কষ্ট আছে।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আপনাকে চিঠি দিয়েছে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

চিঠি দিলে আগে আপনাদের কাছে আসবে পেপারে আসবে, আপনারা জানতে পারবেন

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন দেবে না তো আমরাই অভিযোগ করেছি দেবেন না লুট হচ্ছে সেই টাকার লুঠ করছে, কর্মীদের পোষা হচ্ছে এই যে নেতাদের বাড়িতে কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে কোথাকার টাকা কেন্দ্রের পাঠানো টাকা গরিব মানুষের টাকা। যে প্রকল্পের টাকার হিসাব যাবে না সব বন্ধ করা উচিত। করত না কেন্দ্র স্বাভাবিকভাবে সব রাজ্যকে সমান দেখে, দুর্নীতি হচ্ছে এবং আমাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে সেটা বন্ধ করার জন্য আমরা বারবার বলে এসেছি এখনো হিসাব দিয়ে দিন টাকা নিয়ে নিন।

যে কমিটির সাথে বেশ কিছু সিবিআই প্রসঙ্গ ও নির্বাচনের ফল বিভিন্ন বিষয়ে আপনার সঙ্গে মতপার্থক্য দেখা যাচ্ছে এ নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা জানিনা যেটা ঘটনা সেটাই বলেছি। আমি যখন সভাপতি ছিলাম আমাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে খুন হয়েছে অনেক কার্যকর্তা ভোটের পরে প্রায় ৬০ জন কর্মী খুন হয়েছে, তার জন্য আমরা আদালতে গিয়েছিলাম আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, আমার বক্তব্য তার জন্য কতজন সাজা পেয়েছে, মৃত কর্মীর পরিবারকে আমরা কতটা জাস্টিস দিতে পেরেছি। প্রশ্ন আমি করতে পারি তাতে যদি কারোর খারাপ লাগে লাগতেই পারে আমরা কাউকে খুশি করবার জন্য রাজনীতি করছি না বাংলার সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করি এখানকার পুলিশ প্রশাসনের উপরে আমাদের ভরসা নেই তাই আমরা আদালতে গিয়েছিলাম সিবিআইয়ের ওপর যদি ভরসা না পাই সে কথা আমি বলবো না আর সিবিআই আমার দেখার দরকার নেই পাবলিকের টাকায় চলছে। আমাদের দেশের একটা সংস্থা আছে তার ওপর ভরসা আছে যখন ভরসা থাকে না তখন আমরা প্রশ্ন তুলি।