অবতক খবর,২৯ অক্টোবর,জলপাইগুড়ি: ঘটনা সূত্রে জানা যায়, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য লেগেই থাকতো বিয়ের হওয়ার পর থেকেই। স্বামীর অবাধ‍্য হয়ে স্ত্রী তার বাপের বাড়ি চলে যাওয়ায় নিজের শোবার ঘরে স্বামী ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে।

এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ধূপগুড়ি ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা ২ নং গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝালটিয়ার হাট সংলগ্ন এলাকায়। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ঐ যুবকের নাম নূর আলম(২৪)। সামাজিক রীতিমিতি মেনেই আট মাস আগে বিয়ে করেন বানারহাটের মরাঘাট এলাকার নিবাসী সাবিনা বেগমকে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মিল না থাকায় বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই উভয়ের মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো, যার ফলে পরিবারে অশান্তির সৃষ্টি হত। মৃত যুবকের বাড়ির লোকের অভিযোগ, ঐ মহিলা তার স্বামীকে পছন্দ করত না স্বামীকে পাত্তাও দিত না।

এদিন বিকেলে মহিলাটি স্বামীর সঙ্গে তীব্র রাগারাগি করে একাই বাপের যেতে চাইলে স্বামী বাধা দেয় এবং দুইজনের মধ্যে হাতাহাতির সৃষ্টি হয় বলে পরিবারের লোকজন জানায়। দুজনের মধ্যে বচসার জেরে ঐ মহিলা রেগে একাই বাপের চলে গেলে ঐ যুবক রাতের বেলা নিজের ঘরে গিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ে। প্রায় ঘন্টা দুয়েক পরে বাড়ির লোকজন নুরকে রাতের খাবার খেতে ডাকলে কোথাও খুঁজে না পেয়ে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে এবং এর পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে  যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। তৎক্ষণাৎ ধূপগুড়ি থানার পুলিশকে খবর দেয়। ধুপগুড়ি থানার পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে আসে এবং ঝুলন্ত ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মর্গে পাঠানো হবে।

অল্প বয়সের যুবকের এভাবে চলে যাওয়ায় গোটা এলাকায় একদিকে যেমন শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গ্রামবাসী থেকে পরিবারের লোকজন সকলে চাইছেন সঠিকভাবে ঘটনার তদন্ত করে দোষীর শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন তারা। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ধুপগুড়ি থানার পুলিশ।