অবতক খবর,১৩ আগস্টঃ যাদবপুরের ছায়া এবার হাবড়ায়,বানিপুর নবোদয় স্কুলের নবম শ্রেণী পড়ুয়াকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল উচ্চ ক্লাসের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে।প্রাণের ভয়ে গভীর রাতে হোস্টেলের উঁচু পাঁচিল টপকে বৃষ্টির মতন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে রাতের অন্ধকারে প্রায় ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাড়ি যাওয়ার সময় পড়ুয়ার পথ আটকায় বাজারের নৈশো প্রহরীরা। পরে হাবরা থানার পুলিশের উপস্থিতিতে রাতেই ছেলেটির বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই পড়ুয়াকে।এই ঘটনার পরে নবোদয় এর মতন নামকরা স্কুলের ভূমিকা এবং হোস্টেল কর্তপক্ষের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

যেখানে দাঁড়িয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে নিন্দার ঝড় রাজ্য জুড়ে- শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান – উতর। এরই মধ্যে হাবরা পুরসভার বানীপুর জহর নবোদয় বিদ্যালয়ে উঠলো র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ।অভিযোগ শুক্রবার রাতে নবোদয় স্কুলের নবম শ্রেণীর সাব্বার হোসেন নামে এক পড়ুয়া র‍্যাগিং এর শিকার হয় উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের কাছে। অভিযোগ প্রথমে ওই নবম শ্রেণীর পড়ুয়াকে মারধর করা হয় পরবর্তীতে জ্যামিতি বক্সের কম্পাস দিয়ে সব্বার হোসেনের হাত কেটে দেওয়া হয়।এক প্রকার প্রাণের বাঁচতে বাদুড়িয়া থানার মাদ্রা এলাকার এই পড়ুয়া গভীর রাতে হোস্টেলের প্রায় ১০ ফুট উচ্চতার পাঁচিল টপকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাতের অন্ধকারে ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাওয়ার পরে হাবরা থানার কুমড়া বাজার এলাকায় বাজারের পাহারায় থাকা পাঁচ নৈশো প্রহরী যুবকের পথ আটকায়।বৃষ্টিতে তখন থর থর করে কাঁপছিল এই যুবক। গোটা ঘটনা খুলে বলার পড়ে নৈশো প্রহরীদের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় যুবকের বাড়িতে এবং হাবরা থানায়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ এরপরে যুবকের বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই পড়ুয়াকে। বাজার পাহারার দায়িত্বে থাকা নৈশো প্রহরীরা আমাদের ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন,আমরা না দেখলে হয়তো যুবকের বড় বিপদ হতো। একদিকে যাদবপুরে এরকম ঘটনা ঘটেছে, সেখানে দাঁড়িয়ে কি করে একটি ছেলে র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়ে হোস্টেল থেকে বেরিয়ে এত বড় পাঁচিল টপকে দশ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এলো? এত রাতে পালিয়ে আসতে গিয়ে পথেও তো ছেলেটির বড় কোন বিপদ হতে পারত?স্কুল এবং হোস্টেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে নিয়েও তুলেছেন প্রশ্ন তুলেছেন রাত পাহারার সাধারণ মানুষজন।

যদিও এই গোটা ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে স্কুলে গিয়ে বার বার স্কুলের প্রিন্সিপাল আলো আচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সংবাদমাধ্যমের সাথে দেখা করেননি। তবে স্কুলের মূল ফটোকে দাঁড়িয়ে থাকা সিকিউরিটি গার্ড জানিয়েছেন এই ছেলেটি নবোদয় স্কুলের নবম শ্রেণীর পড়ুয়া, এর বাইরে বিশেষ কিছু তিনি জানেন না কারণ গতকাল রাতে তার ডিউটি ছিল না। তবে প্রশ্ন উঠছে এখানেই যেখানে দাঁড়িয়ে যাদবপুরের ঘটনা আলোড়ন ফেলেছে গোটা রাজ্য জুড়ে সেখানে দাঁড়িয়ে কি করে নবোদায়ের মতো নামকরা স্কুলে র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে? হোস্টেল কর্তৃপক্ষ কোথায় ছিল এত রাতে কি করে একটি ছেলে প্রাণের ভয়ে পাঁচিল টোপকে ১০ কিলোমিটার পথ হেঁটে গেল?