মৃত গ্রাহকের নাম বাদ দিতে গিয়ে জীবিত গ্রাহকের নাম বাদ দাবি ডিলারের। অভিযোগ ওড়াল খাদ্য সরবরাহ দফতর

অবতক খবর,৮ জানুয়ারি,বাঁকুড়া:- হঠাৎ গ্রাহক তালিকা থেকে নাম বাদ বহু গ্রাহকের, মৃত গ্রাহকের নাম বাদ দিতে গিয়ে জীবিত গ্রাহকের নাম বাদ দাবি ডিলারের। অভিযোগ ওড়াল খাদ্য সরবরাহ দফতর।

জলজ্যান্ত বেঁচে রয়েছেন। হাতে রয়েছে বৈধ ডিজিট্যাল রেশন কার্ডও। কিন্তু কারো নাম বাদ পড়েছে গ্রাহক তালিকা থেকে। আবার কোনো গ্রাহকের রেশন কার্ড ব্লক করা রয়েছে। ফলে রেশন দোকানে গিয়ে খালি ব্যাগ নিয়েই ফিরতে হচ্ছে অনেককে। বাঁকুড়া শহরের একটি রেশন দোকানেই এমন গ্রাহকের সংখ্যা পঞ্চাশ। রেশন ডিলারের দাবি পরিবারের মৃত ব্যাক্তির নাম বাদ দিতে গিয়ে ভূল করে জীবিত ব্যাক্তির রেশন কার্ড ব্লক করে ফেলেছে খাদ্য সরবরাহ দফতর। অভিযোগ মানতে নারাজ খাদ্য সরবরাহ দফতর। দফতরের দাবি গ্রাহক রেশন কার্ডের সাথে আধার কার্ড সংযোগ না করানোয় এমন সমস্যা হয়েছে।

আরতী বাগদী। বয়স সত্তর ছুঁয়েছে। কিন্তু পেট মানে না বয়সের ভার। অগত্যা অশক্ত শরীরেই সকাল হলেই বেরোতে হয় শহরের রাস্তায় রাস্তায়। বাঁকুড়া শহরের বিভিন্ন পাড়ায় ঘুরে ঘুরে অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। অন্যের বাড়িতে কাজ করে যে সামান্য খাবার জোটে দুপুর কাটে তা দিয়েই। রাতের খাবার কোনোদিন জোটে আবার কোনোদিন জোটে না। বিবেকের টানে মাঝেমধ্যে নিজের মুখের গ্রাস তুলে দেন পাশের বাড়িতে থাকা মৃত নাতির ছোট ছোট অনাথ ছেলেমেয়েগুলোর অভূক্ত মুখে। রেশনের সামান্য চাল, গম অভাবের সংসারে ছিল একটু বাড়তি অক্সিজেন। কিন্তু এমাস থেকে তাও বন্ধ। রেশন দোকানে গিয়ে ফিরতে হয়েছে খালি ব্যাগ হাতে। স্থানীয় রেশন ডিলার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন রেশন দোকানের গ্রাহক তালিকায় আরতী দেবীর নামে পড়েছে লাল কালীর দাগ। এই অবস্থায় রেশন দেওয়া সম্ভব নয়। সত্তর পেরোনো আরতী দেবীর অভাবের সংসারে যে রেশন কয়েকটা দিনের খাবার জোটাতো সেই রেশন আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন তাঁর কাছে শুধুই সম্বল চোখের জল।