অবতক খবর,৯ জুলাই,নদীয়া :- একজন তো আবার নিজেকে মৃত ব্যক্তির দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হিসেবে দাবি করে সেই বাড়ির ঘরের তালা ভেঙে জোর করে ঢুকে বসবাস করা শুরু করে দিয়েছিলেন।

সেই খবর প্রথমপক্ষের স্ত্রীর কানে পৌঁছানো মাত্রই মৃত ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ের যাবতীয় প্রমাণপত্র জেরক্স করে স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে জমা দিয়ে সেই বাড়ির দখল নিজের পক্ষে রাখার আবেদন জানিয়েছেন।

পরিস্থিতি শেষপর্যন্ত এমন অবস্থায় গিয়ে পৌঁছায় যে, হস্তক্ষেপ করতে হয় পুলিশকে।সেই বাড়িতে লাগিয়ে দেওয়া হয় তালা। কে আইনগতভাবে প্রকৃত স্ত্রী মৃত ওই ব্যক্তির, দুজনকেই তার প্রমাণ দেখাতে বলেছে পুলিশ।

ঘটনাটি নদিয়ার চাকদা পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কেবিএম-এর।জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম মনোজ কুমার বিশ্বাস। তার আসল বাড়ি চাকদা থানার কামালপুরে। তবে চাকদা পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কেবিএম-এ প্রায় পাঁচ কাঠা জমির ওপরে একটি বাড়ি রয়েছে।

নিজেকে মনোজকুমার বিশ্বাসের স্ত্রী হিসাবে দাবিদার চায়না বিশ্বাস বলেন, চাকদা পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে আমার স্বামীর নামে পাঁচ কাঠা জমির উপরে একটি বাড়ি রয়েছে। পুরসভার দেওয়া একটি পুরনো ঘর রয়েছে। সেখাানে তালা মারা থাকে। দিনচারেক আগে সেই তালা ভেঙে অঞ্জু বিশ্বাস নাম করে একজন মহিলা নিজেকে আমার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করে ঘরে ঢুকে যান। এরপর সেখানেই বসবাস করা শুরু করেন।

খবর যায় স্থানীয় কাউন্সিলর মৌমিতা ভট্টাচার্যের কাছে। এই ঘটনায় কাউন্সিলর মৌমিতা ভট্টাচার্য বলেন, চায়না বিশ্বাস নামে একজন মহিলা মনোজ কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী হিসাবে দাবি করে তার বিয়ের যাবতীয় প্রমাণপত্রের জেরক্স আমার কাছে জমা দিয়ে গিয়েছেন। এমনকি মনোজ বাবুর পেনশনের কাগজপত্রও। তা সত্ত্বেও অঞ্জু বিশ্বাস নামে ওই মহিলা নিজেকে মনোজ কুমার বিশ্বাসের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী হিসেবে দাবি করে ঘরের দখল নিয়ে নিয়েছিল। আমি তাদের ঘর থেকে বার করে ঘরে তালা লাগিয়ে দিয়েছি। অথচ কাউকে না বলে ওই মহিলা বুধবার সকালে সেই তালা ভেঙ্গে ফেলার চেষ্টা করছিলেন। বারণ করা হলে তিনি বিভিন্ন রকম অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। তিনি বলতে থাকেন, তিনি কাউকে মানেন না। বাধ্য হয়ে পুলিশকে ডাকতে হয়। পুলিশের নির্দেশের পর ওই মহিলা চলে যেতে বাধ্য হয়। ওই মহিলা তার বিয়ের কোনরকম প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি।

যদিও অঞ্জু বিশ্বাস বলেন, আমি মনোজ বিশ্বাসের স্ত্রী। আমার স্বামীর ঘরে আমি থাকবো তাতে কেউ আমাকে বাধা দিতে পারবে না। কুড়ি বছর ধরে সংসার করেছি কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। হঠাৎ করে জোরপূর্বক রেজিস্ট্রি করে নেয়। তখন আমার শ্বশুরবাড়ির কেউই জানেন না। তারপর থেকেই রীতিমতো ভয় দেখাতে থাকে।

যদিও ঘরের সামনেই দীর্ঘক্ষণ ধরে বসে থাকার পর অবশেষে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন অঞ্জু বিশ্বাস। বিষয়টি খতিয়ে দিচ্ছে চাকদা থানার পুলিশ।