অবতক খবর,২০ জানুয়ারিঃ এই তরুণটি কোনোদিন বারুদ খেয়েছিল। আত্মগোপন করেছিল, জেলের অন্তরালেও ছিল। আজীবন ছিল লড়াকু এবং মানুষের মধ্যে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল। এই তরুণটি বোমারু ক্ষুদিরামকে খুবই ভালোবাসতো আর রিভলবার মাস্টার বিপিনবিহারী গাঙ্গুলীর ছায়াকে আশ্রয় করে বাঁচতে চেয়েছিল। এই যুবকটির জীবনের করুণ পরিণতি সকলেই জানে। কামাইবাজি রাজনীতির শিকার হয়েছিল সে। সেই যুবকটির আজ অষ্টতম অন্তর্জলীযাত্রার দিন। সেই অন্তর্জলীযাত্রায় শীতের হিমকে উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিল এই নটবর ঘাটের দাহুপর্বে!এই যুবকটির নাম মৃণাল সিং রায়। সবাই তাঁকে আবুদা নামে চিনেছিল।

এই পাড়ার সেই যুবকটি

তমাল সাহা

কপিল মুনির আশ্রমের চত্বরে

পৌষ সংক্রান্তির আগে থেকেই গাঁজার ছিলিমে টান মেরে অগ্নিকুণ্ড জ্বালিয়ে শরীর উষ্ণ রেখেছে তারা। তারপর শাহীস্নান সেরে নাগা সন্ন্যাসীরা ফিরে গেছে ঘরে

ততক্ষণে মাঘের শীত জুড়ে বসেছে গায়ে

হাড়হিম শীতে না-খেতে পাওয়া ভিখিরিরা যখন এদিক ওদিক ঘুরছে তখন একহাতে কম্বল অন্য হাতে খিচুড়ির বালতি নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে এক যুবক ইটভাটায় বস্তির ঘরে ঘরে

গাঙ্গেয় ওপারে পর পর চটকল বন্ধ—

শ্রমিক মহল্লা স্তব্ধ দেখে ভাগওয়ালা বদলি শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে একটি লড়াকু যুবক জেহাদি স্লোগান তুলেছে– শ্রমিক ভুখা হ্যায় উসকা মাঙ্গ পুরা করো।

ইয়ে তানাশাহি নেহি চলেগা

জনপদে হাজার হাজার বেকার যুবকেরা যখন অবনত মুখে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তখন রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিকে ভাঙচুর করে দিয়ে রিভলবার হাতে সে কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপে আমলাতান্ত্রিক দাপটকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে হাজার হাজার যুবকের নোকরি জুটিয়ে দিয়েছে

গাঙ্গেয় উপকূলে এখন মুদ্রার বাজার।

নেতা মন্ত্রীর ঘরে ঘরে মুদ্রার স্তুপ

এ তো দেখি টাকার হিমালয়!

আমি আশ্চর্য হয়ে দেখি সেই পর্বতের উপর দাঁড়িয়ে

সেই মুদ্রাকে পদদলিত করছে আর ঘন ঘন ছুড়ে দিচ্ছে থুথু এক যুবক!

সাহস কাকে বলে

প্রত্যয় কাকে বলে

দুঃসাহসিকতা কাকে বলে

চ্যালেঞ্জ শব্দটি শিখে নাও সেই যুবকের কাছে

এইসব দৃশ্যাবলীর আয়োজক একজন তরুণ

তাকে শ্রদ্ধা জানানো ছাড়া আজ আর কী থাকতে পারে!