এক অরাজক সময় এখন। রাজনৈতিক বন্ধ্যাকাল। শাসকীয় দৌরাত্ম্য চলমান।

মুহূর্ত
তমাল সাহা

এক) রুটির সময়

রুটির সময় এখন
পেটের আগুন নেভানোর খোঁজ।
রুচির কথা বলো? শব্দ চয়ন করো রোজ!

চারিদিকে পোড়া মাংসপিণ্ড
বিশাল আয়োজনের ভোজ!

দুই) কথন

তোমরা বলো
কবি হবে মিতভাষী,
উচ্চ কথনে মানায় না তাকে।
কবিতার নির্মাণ হবে শৈলীর বাঁকে।
সমুদ্র কখন শান্ত থাকে?

সমাহিত শব্দ চয়ন বিশ্ব পারাবারে?
নবজাতকের পদার্পণ রক্তস্নাত চিৎকারে।

সৃজনে শব্দ ছিল সূর্যের আধারে
মিতভাষী আর্তনাদ শোনো কি তুমি
ধর্ষিতার বাঁচাও! বাঁচাও কণ্ঠস্বরে?

অসহায় শব্দ গাঁথবে তুমি কি প্রকারে?
অশ্রুজল ঝরে অঝোরে
দাঁড়ের শব্দ শুনি বুকের পাঁজরে।

তিন) হাওয়া

হাওয়া যায় না বোঝা যদি না ওঠে ঝড়।

ঝড়ের প্রাকমুহূর্ত!
তাই কি মানুষ নীরব নিথর?

চার)নিভৃতি

নিভৃতে থাকো তুমি
নীরবে কি থাকতে পারো?
একাকিত্ব শব্দটি থাকলে
আছে জনতার ভিড়ও।

পাঁচ) দায়

দানের কথা জানলেও
আছে শুধু দায়।
এটা কি কবির ওপরও বর্তায়?

ছয়)তুচ্ছতা

অক্ষর যখন তুমি তুলে নিয়েছো হাতে
তখন তুমি কবি।
মানুষ একমাত্র পাঠক তোমার
বাদ বাকি তুচ্ছ সবই।