অবতক খবর,১২ সেপ্টেম্বর,লালবাগ:-দীর্ঘ দিন ধরে নিম্নমানের খাবার দেয়ার কারণে অঙ্গনারী কেন্দ্রটিতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার এই ঘটনাটি ঘটে কুর্মিটোলা নবীন সংঘ ক্লাবে অঙ্গনারী কেন্দ্রে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে দীর্ঘদিন থেকে এই অঙ্গনারী কেন্দ্রে মোট ১১৭ জনের যার মধ্যে ১০৭ জন শিশু ছয় জন গর্ভবতী মা এবং চারজন প্রসূতি মা মোট ১১৭ জনের খাবার বরাদ্দ আছে কিন্তু এই অঙ্গনারী সেন্টার থেকে বর্তমানে ১০ থেকে ১২ জনের খাবার দেয়া হয় এই ব্যাপারে বাচ্চার মা, গর্ভবতী মায়েরা এবং প্রসূতি মায়েরা অভিযোগ করলে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এ ডব্লিউ ডব্লিউ বলেন অঙ্গনারি কেন্দ্রে না এলে কোন খাবার দেয়া যাবে না এবং শিশুর মা অভিযোগ করেন এই ব্যাপারে তাদের কাছে জানতে গেলে এ ডব্লিউ এইচ লতিকা বিশ্বাস এবং এ ডব্লিউ ডব্লিউ ঊর্বশী সরকার কোন কথা বলতে রাজি হন নি বলে তারা অভিযোগ করেন,এবং তারা আরো বলেন যে এই অঙ্গনারী কেন্দ্রের কোন বোর্ড বাইরে ঝুলানো নাই এবং প্রতিদিন যে খাদ্য তালিকা সেটাও টানানো হয় না আজ ওরা জানতে পারে যে স্থানীয় বাসিন্দারা আসবে তাই তারা একটি সাদা কাগজে লিখে টানাতে যায়। কিন্তু উপস্থিত বাসিন্দারা সেটি টানাতে বাধা দেন তারা বলেন প্রতিনিয়ত এখানে খিচুড়ি,ডিম দেওয়া হয় কোন সবজি দেয়া হয় না। এবং

 

ডিমগুলি বেশিরভাগই পচা, এ ব্যাপারে বলতে গেলে হুমকি দেয়া হয় যে, যা দেয়া হচ্ছে তাই নিতে হবে কোন অভিযোগ শোনা যাবে না। এই ব্যাপারে আমাদের প্রতিবেদক অঙ্গনারী কেন্দ্রের এ ডব্লিউ ডব্লিউ ঊর্বশী সরকার এবং এ ডব্লিউ এইচ লতিকা বিশ্বাসকে জিজ্ঞাস করলে তারা বলেন এগুলি সম্পূর্ণ মিথ্যা আমরা বাচ্চাদের আসতে বলায় আমাদের নামে এই অভিযোগ করছে বলে তারা জানান।

উর্বশী সরকার এবং লতিকা বিশ্বাস তারা কোনরকম ছাত্রদের উপস্থিতি সহায়ক খাতা দেখাতে পারেনি এবং কিসের ভিত্তিতে কতজনের খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যায় সে ব্যাপারেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এ ব্যাপারে সিডিপিও দপ্তরে জানানো সত্ত্বেও কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তারা দাবি করেন যে এখানকার দুজন কর্মীকে সরিয়ে অন্য কর্মীদের এখানে দেয়া হোক স্থানীয় বলে এরা যা খুশি করছে।

সিডিপিও শ্রী তাপস শীল মহাশয় বলেন আমার কাছে কোন অভিযোগ জমা পড়েনি বা কেউ মৌখিক জানায়নি আপনার কাছেই শুনলাম অবশ্যই এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা দপ্তরের পক্ষ থেকে নেয়া হবে বলে তিনি জানান।