অবতক খবর,২০ নভেম্বরঃ আজ মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ ট্যুরিজম এন্ড কালচারাল হাব কক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের ২০২২ পঞ্চায়েতি সভা কে কেন্দ্র করে এক অ্যানুয়াল জেনারেল মিটে উপস্থিত হন রাজ্য তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী শ্রীমতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি এই সবাই উপস্থিত হয়ে তিনি অশোক দাসের এক বক্তৃতা উল্লেখ করে বলেন যে বক্তব্য ছোট হলেও অশোকদা এটা কথা বলেছেন যেখানে মেয়েদের সম্মান দেয়া হয় না সেখানে কখনো উন্নতি হয় না। এটা ঘটনা আজ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তিনি প্রতি ঘরে ঘরে মেয়েদের জন্য লক্ষীর ভান্ডার সহ নানান রকম প্রকল্প করেছেন।
আজ পড়াশুনোর ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কুলের ড্রেস ব্যাগ এবং নানান স্কলারশিপ এর ব্যবস্থা করা হয়েছে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ট্যাপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবং ইস্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য তাদের হাতে সাইকেল তুলে দেয়া হচ্ছে। খুব স্বাভাবিক কারণে মমতা ব্যানার্জির এই উন্নয়ন দেখে বিরোধীদের জ্বলন শুরু হয়েছে। তাই আমরা একটি কথাই বলবো যত জ্বলবি লুচির মত ফুলবি। মমতা ব্যানার্জি মানুষের জন্য যত প্রকল্প গ্রহণ করেছেন বিজেপি কিছু করতে পারেনি। মোদি বলেছিলেন প্রত্যেকের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকবে কিন্তু মানুষ দেখেছেন টাকা ঢুকা তো দূরের কথা তার আমলে দ্রব্যমূল্য যে হারে বেড়ে যাচ্ছে তাতে সমস্ত টাকা বেরিয়ে আছে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরো বলেন মমতা ব্যানার্জি আজ যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড উপহার দিয়েছেন সেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে মাধ্যমে মানুষ আজ তার চিকিৎসা করাচ্ছেন কারো কাছে হাত পাততে হচ্ছে না। তিনি বলেন আমি তো ষোল সালে ডিসেম্বর মাসে স্বাস্থ্যসাথী করেছি তুমি কবে করেছো আয়ুষ্মান কি হলো আয়ুষ্মানের তার আয়ু কি ফুরিয়ে গেল।
তিনি বলেন আমাদের ৭৫ দিনের যে কর্মসূচি ছিল তার আগামী ২৫ তারিখ আমরা প্রথম রাউন্ডের রিপোর্ট নিব, ২০ শে ডিসেম্বর সেকেন্ড রাউন্ড রিপোর্ট নেয়া হবে এবং এবং ১২ ই জানুয়ারি আমাদের যে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে সেটা শেষ হবে। এই ৭৫ দিনের কর্মসূচির পর আমরা থার্ড রাউন্ড রিপোর্ট নিব বলে জানান চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মহাশয়। এবং এই রিপোর্টের ভিত্তিতে আমাদের সাধ্যের মধ্যে যেগুলি করার সেগুলি আমরা করার চেষ্টা করব বলে জানান তিনি। তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন আমাদের পায়ের চাকা লাগানো আছে আমরা তো চলবই আমরা গ্রাম শহরে ছুটে ছুটে যাব মানুষের কথা শুনবো অভাব অভিযোগ শুনে সেই কাজ করব আর তোমরা তো চলতে পারবে না তোমরা টিভির সামনে বসে বসে বড় বড় বক্তব্য রাখবে।। তিনি বলেন এটাই মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে অন্যান্য দলের ফারাক। সবশেষে তিনি সকলকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে তার এই বক্তব্য শেষ করেন।