বিনয় ভরদ্বাজ , অবতক খবর,১৪ই ডিসেম্বর :: ছিলেন ভাটপাড়ার ত্রাস । অর্জুন সিং এর পরম ভক্ত। বোমাবাজি ভাঙচুর লুটপাট সহ তেইশটি মামলার আসামি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই তার নাম নৈহাটির মঞ্চে ঘোষণা করে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন ডিজি ও পুলিশ কমিশনারকে।

সেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে তার মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে, তৃণমূলেই যোগদান করলেন ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা গোপাল বাউত।

১৯ শে মে নির্বাচনের দিন শুরু হয় ভাটপাড়া অঞ্চলে ভাঙচুর বোমাবাজি ও সংঘর্ষ। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর আর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ভাঙচুর করা হয় ভাটপাড়া তৃণমূল নেতা ও কাউন্সিলরদের ঘরবাড়ি ও রাতারাতি গেরুয়া হতে শুরু করে দেয় বিভিন্ন তৃণমূলী ক্লাব ও পার্টি অফিস ।

ভাঙচুর ছড়িয়ে পড়ে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এলাকার দিকে দিকে তৃণমূল পার্টি অফিস ভাঙচুর চলতে থাকে ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায যদিও তাকে রাস্তায় ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয় তবুও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নৈহাটি মঞ্চ থেকে সাংসদ অর্জুন সিং এর তান্ডব বাহিনীর গ্রেপ্তারের জন্য রাজ্যের ডিজি ও পুলিশ কমিশনারকে  নির্দেশ দেন।

ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রীর নিজেই নৈহাটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাটপাড়া দুর্বৃত্ত গুন্ডাদের নাম ঘোষণা করে ডিজিকে গ্রেফতার করে জেলে পুরতে বলেন | অভিযোগকারী তালিকা হাতে তুলে দেন

যে সকল গুন্ডাদের নাম তিনি বললেন বললেন ও ডিজিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন তাতে ভাটপাড়া কুখ্যাত দের মধ্যে নাম ছিল গোপাল রাউত ও ধর্মেন্দ্র সিং ওরফে ধরুয়া ।

অর্জুন বাহিনীর প্রথম সারির তারকা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে । তবুও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও গোপাল রাউতকে কেশাগ্র ছুঁতে পারেনি তাণ্ডব তাবড় তাবড় পুলিশ কমিশনার ও সিআইডির দুঁদে গোয়েন্দারা ।

ইতিমধ্যে একজন আসামির এনকাউন্টারের মৃত্যু হয় ভাটপাড়ায়। গুলির লড়াইয়ের পর পুলিশ বুকে গুলি গেঁথে দেয়, ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। তারপর গা ঢাকা দিয়ে ধরুয়া ও গোপাল । গোপাল নিজেই স্বীকার করে তাকে মুখ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তবে যে গোপালকে মুখ্যমন্ত্রী গ্রেপ্তার কথা বললেন সেই গোপাল রাউত এখন দাবি করছে নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক এর সঙ্গে বৈঠক করে সবকিছুই নাকি সেটিং করে ফেলেছে ।

গোপালের দাবি পার্থ ভৌমিকই তাকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিয়ে গিয়ে সব সেটিং করিয়ে দেন । ১৩ ডিসেম্বরে ভাটপাড়া মঞ্চে গোপাল রাউত এর শুদ্ধিকরণ হয়ে যায় তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েই। সেখানে ছিল ঢালাও ব্যবস্থা । নেতা মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে মঞ্চে তৃণমূলে যোগদান করে গোপাল ।

গোপাল এর মঞ্চে উঠে যোগদানের খবর আগাম জানতে পেরে অনুষ্ঠানে যোগদান করেননি তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদী, ফিরহাদ হাকিম ও জেলার মন্ত্রী ও সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ।

তবে গোপালের দলে যোগদান নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ঘুরছে তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদেড় মুখে এবং মনে । এখন ভাটপাড়া সহ সমগ্র রাজ্যবাসীর প্রশ্ন এমনকি সেটিং হয়ে গেল যে ঘোষিত 23 টি মামলার আসামী রাতারাতি ধোয়া তুলসী পাতা হয়ে গেল।