অবতক খবর,২৯ ডিসেম্বর : ১৪ ফেব্রুয়ারি ইকো পার্কে বাতিল অরিজিৎ সিংয়ের কনসার্ট। কারণ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতেই এই অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। বুধবার এমনই তথ্য দিয়েছেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এ দিকে অনুষ্ঠান বাতিলের কথা ঘোষণা হতেই শুরু রাজনৈতিক তরজা। আসরে নেমেছে বিজেপি। অরিজিৎ রাজনীতির শিকার, এই অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করে ফেলেছে বঙ্গ বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে ‘রং দে তু মোহে গেরুয়া’ গান গাওয়ার জন্যই কি শো বাতিল হল গায়কের? প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। এমন আবহে এবার এই ইস্যুতে মন্তব্য করলেন বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে না থাকলে খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।

বৃহস্পতিবার সাত সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরে খড়গপুর শহরের চা চক্রে যোগ দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের শাসক শিবিরকে কটাক্ষ ছুড়ে দেন তিনি। তখন বাদ পড়েনি অরিজিতের গানের শো বাতিল ইস্যুও। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বিজেপি নেতা বলেন, “সব শো নয়, বেছে-বেছে অনুষ্ঠান বাতিল করা হচ্ছে।তৃণমূলের সঙ্গে না থাকলে খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু অরিজিৎ সিং নয়, যারা তৃণমূলের সঙ্গে নেই প্রত্যেকের শো বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবেই বাংলার শিল্প সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে তৃণমূল।” তবে একা দিলীপ নন, শো-বাতিলের খবর চাউর হতেই বিজেপি নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, অরিজিৎ তাঁর প্রিয় গান শুনিয়েছেন। এটা অসহিষ্ণুতা পরিচয়। ওই গানটি গাওয়ার জন্যই তাঁর শো বাতিল করা হল।
উল্লেখ্য, গতকাল মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন ওই সময় জি-২০ সম্মেলন রয়েছে শহরে। সে কারণেই পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে।তবে ইকো পার্কের বদলে অনুষ্ঠানের জন্য বিকল্প জায়গা আয়োজকদের দেওয়ার ব্যাপারে জানানো হয়েছিল বলে দাবি ফিরহাদের। মেয়র বলেন, “ওই সময় জি-২০ সম্মেলন রয়েছে। এখন অনেক প্রচণ্ড ভিড় হচ্ছে। এখন ওখানে বড় অনুষ্ঠান করলে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। সেই জন্য বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট অনুষ্ঠানের অনুমতি দিচ্ছে না। তবে অনুষ্ঠানের জন্য বিকল্প জায়গা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।