অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার নেই। গতকাল ছিল ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, চলে গেছে সে।
বোধ করি কারুর মৃত্যুর পর আমাদের বোধ ও বোধি দুটিরই জাগরণ ঘটে। এখন সবাই বলছে এবং আমিও– সে অনেক বড় শিল্পী ছিল! তেমন মর্যাদা পায়নি।

আমাদের পাড়ায় ছুপা রুস্তম চাপা প্রতিভার এক শিল্পী ছিল। সে তাকে মান্ধারি বাজারে আর্য সমিতির মাঠে এক অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দিয়েছিল। সেই শিল্পী চলে গেছে মানে বিজন কুণ্ডু চলে গেছে। অনিল রুদ্র সরণিতে থাকতো। আজ শ্রীলা মানে অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদারও চলে গেল!

মিনুর কথা
তমাল সাহা

মিনু তেমন ঝাঁ চকচকে মেয়ে ছিল না। সাদামাটা আমাদের বাড়ির মেয়ের মতোই ছিল। গায়ের রংও তো ময়লাপানাই ছিল!

সে কতদিন আগের ঘটনা! একেই বলে স্মৃতিতাড়িত ছবি। দেখা হয়েছিল কথা হয়েছিল সে তো বিজনের দৌলতেই।
সে তো একটা আবৃত্তিও করেছিল ‌ এসব আবার কোনোদিন লিখতে হবে, অত বোধ, বোধ করি তখন মাথায়ও ছিল না।
একটা ভিডিওতে তার মুখ থেকে মধ্যবিত্ত মায়ের ইচ্ছে-লড়াই মানে মেয়েকে সব কিছু বানাবে তার গল্প ও একটি জামা কম পড়ার কাহিনী শুনেছি। ‌

রাঙামাটি-র আমার পৃথিবী একদিন প্রতিদিন-ই মিনি দেখতো।
সে পুলিশি ইন্টারোগেশনের মুখে পড়েছিল। চিনু, তার দিদি রাতে বাড়ি ফেরেনি কেন, তার জবাবদিহির পাল্লায় সে পড়েছিল।

চোখ-এর পর্যবেক্ষণ নিয়ে সে বেরিয়ে পড়েছিল আকালের সন্ধানে।
পরশুরামের সঙ্গেও দেখা হয়েছিল।
একটা বইয়ে তার নাম ছিল আহ্লাদী।
আল্লাদী কি আসল নকল ফারাক করতে পেরেছিল?

খণ্ডহর পেরিয়ে চপার হাতে কোথাও আরোহণ করতে চেয়েছিল বুঝি সে!
কে কোথায় আক্রান্ত কার কি অভিসন্ধি জানা বড় দরকার।
প্রতিবাদ তো করতে হবে!

মাণ্ডি-তে সে এক বেশ্যা নারী হয়েছিল।
শ্লীলতাহানির পরে কি ঘটে সকলেই জানে।
প্রসবের ব্যাপার-স্যাপার ছিল কিনা আমি জানিনা।
সে কাকে কি পার্সেল কোথায় পাঠায় তাও আমার জানা নেই।
এটুকু বুঝি খারিজ হয়নি সে আর এখন পালান মানে আসলে কি সেটাও বোঝার চেষ্টা করছি।

এক পল! নীলিমায় নীল মুছে গেছে।
এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেল বুঝি!