মালদা জেলায় কংগ্রেসের কর্মীসভা।

অবতক খবর, মালদা: ভারতবর্ষের মানুষ এনআরসি, সিএএ, এনপিআর মেনে নেয় নি। তাই আগামী নির্বাচনে মানুষ ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্সে এর যোগ্য জবাব দিবে।রবিবার মালদা শহরের টাউন হলে জেলা কংগ্রেসের ডাকে একটি কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মিত্র। ছিলেন দলের রাজ্যের পর্যবেক্ষক রঞ্জন গগৈ,  কংগ্রেস নেতা আবদুস সাত্তার, জাভেদ খান, ভিপি সিং প্রমূখ ।

এদিন মালদার ১৫টি  ব্লকের বিভিন্ন বুথ থেকেই কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা এই কর্মী সভায় অংশগ্রহণ করেন। আসন্ন পুরসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সাংগঠনিক বৃদ্ধিতে কি ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে চলতে হবে তার কর্মসূচি এদিনের কর্মীসভায় ঠিক করা হয়। এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে  সাক্ষাৎকারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মিত্র বলেন, বাম কংগ্রেস জোট যে কতটা নির্বাচনে ক্ষমতা দখল করতে পারবে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে কেন্দ্র এবং রাজ্যের শাসকদল । এই নিয়ে অনেকে ভীত ও সন্ত্রস্ত । বাম কংগ্রেসের জোট যে শাসক দলের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়েছে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কারণ, সম্প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছিলেন বাম-কংগ্রেস জোট নাকি গোল্লা পাবে। যদি উনি উদ্বিগ্ন না হন, তাহলে এই জোটের কথা মুখে আনছেন কেন । এতেই বোঝা যাচ্ছে ওরা কতটা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে বাম কংগ্রেসের জোট নিয়ে।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন নির্বাচনী ক্ষেত্রে সমঝোতা করেই বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী ঠিক করা হবে। তার আগে জেলায় জেলায় সাংগঠনিক বৃদ্ধিতে জোর দিতেই কর্মী সভার করা হচ্ছে । মাঝখানে সামগ্রিকভাবে কংগ্রেস দুর্বল হয়েছে। তাতে দলের মধ্যে একটা আঘাত এসেছে। সেই আঘাত সাড়িয়ে এখন আমরা বদ্ধপরিকর সাংগঠনিক বৃদ্ধিতে । আগামী দিনে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগেই সাংগঠনিক বৃদ্ধিতেই এখন দলীয় স্তরে কর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি আরোও বলেন, এনআরসি, সিএএ, এনপিআর এটা নির্বাচনের কোনো ইস্যু নয়, এটা বেঁচে থাকার ইস্যু,  সাধারণ মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। তাই দেশবাসী এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। নির্দিষ্ট একটি দল শুধু এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে একথা ঠিক নয়। বিভিন্ন রাজ্যে এবং জেলায় জেলায় এনিয়ে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মিত্র বলেন, আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে দলের কর্মসূচি কিরূপ হবে, কিভাবে জেলাস্তরে দলীয় নেতা কর্মীরা কাজ করবেন,  তার ঠিক করতেই এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছে । প্রতিটি জেলাতেই এই কর্মী সভা কংগ্রেস করছে ।