অবতক খবর,১৭ অক্টোবর, অভিষেক দাস, মালদা:- মালদা জেলার প্রাচীন কালীপুজো গুলির মধ্যে অন্যতম গোবরজনা কালী মন্দির। লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে এই পুজো নাকি শুরু করেছিলেন ভবানী পাঠক। বর্তমানে এখানে পুজো দিতে জেলার বাইরে থেকে বহু ভক্তের সমাগম ঘটে। ভক্তদের কাছে জাগ্রত কালী মন্দির হিসাবে পরিচিত ও খ্যাতি লাভ করেছে এই প্রাচীন মন্দির। বাংলা ছাড়াও প্রতিবেশী রাজ্য বিহার ঝাড়খন্ড থেকেও বহু ভক্তের সমাগম হয় গোরবজনা কালি পুজোয়। ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ হওয়াই ভক্তদের ঢল নামে এখানে।

কয়েক পুরুষ ধরে এই পুজোর দায়িত্ব পালন করে আসছে স্থানীয় চৌধুরী পরিবার। তবে এই পুজোর সূচনা ঠিক কবে হয়েছিল তা অজানা সকলের কাছে। স্থানীয় লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে এই পুজো নাকি শুরু করেছিলেন দেবি চৌধুরানীর ভবানি পাঠক। ডাকাতি করার আগে নদীর তীরে ঘন জঙ্গলে এই কালি পুজো দিয়ে তিনি যেতেন। এখনো মন্দিরটি রয়েছে স্থানীয় কালিন্দ্রী নদীর তীরে।

নিয়ম নিষ্ঠার সাথে বর্তমানে পুজিত হয়ে আসছেন গোবরজনা কালিমাতা। গোবরজনা গ্রামের চৌধুরী পরিবারের বর্তমান সদস্যরা এই পুজো করছেন। চৌধুরী পরিবার ভাগ হয়েছে বর্তমানে। তাই প্রতিবছর পালা করে পুজোর দায়িত্ব পালন করেন বর্তমান প্রজন্ম। এই বছর পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন স্বপন চৌধুরী। তিনি বলেন, এই পুজো ঠিক কত পুরনো তার জানা নেয় আমাদের। তবে আমার ঠাকুরদা জ্যোতিষ চৌধুরী এই পুজো করতেন গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে। গ্রামের পাশে কালিন্দ্রী নদীর তীরে ঘন জঙ্গল ছিল আগে। সেখানেই জরাজীর্ণ দেবির বেদি ছিল। প্রতিবছর কালি পুজোয় হতো পুজো। আগে নদীপথে নৌকায় করে দেবীমূর্তি নিয়ে আসা হত। ধীরে ধীরে মন্দিরের ভক্তদের সমাগম বাড়তে থাকে। মন্দির চত্বরের জঙ্গল পরিষ্কার হয়ে যায়। ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ হওয়ায় অনেকেই এখানে পাঁঠা বলি দেন। জাগ্রত হতে থাকেন কালিমাতা। আগে বিশাল বট গাছের নীচে মন্দির ছিল।গাছটি মারা যাওয়ার পর তৈরি করা হয় মন্দির। এখন সেই মন্দিরেই পুজো হয়ে আসছে।বর্তমানে প্রতিবছর চার থেকে পাঁচ হাজার পাঁঠা বলি হয় এখানে। এমনকি মহিষ বলির প্রচলন এখনো রয়েছে।