মালদায় অজ্ঞাত যুবতীর অর্ধনগ্ন অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য।

হক জাফর ইমাম :: অবতক খবর :: ৫ই,ডিসেম্বর :: মালদা :: হায়দ্রাবাদে মহিলা চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার হল মালদা জেলায়। এক যুবতীর অর্ধনগ্ন অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদা ইংরেজবাজার থানার কোতোয়ালী গ্রাম পঞ্চায়েতের টিপাজনি এলাকায় । প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশের অনুমান , ধর্ষণ করে খুন করার পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ওই যুবতীকে।

বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, ডিএসপি প্রশান্ত দেবনাথ সহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা।  যদিও মৃতের নাম ও পরিচয় জানতে পারি নি তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা। মালদা জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানাই, অগ্নিদগ্ধ এক যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।

মৃতদেহের কাছ থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে‌। যা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পাশাপাশি মৃতদেহটি মালদা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে বলা যাবে। ধর্ষণ হয়েছে কিনা বা কি অবস্থায় ওই যুবতীর মৃত্যু হয়েছে সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার বয়স ২০ থেকে ২২ বছর। প্রাথমিকভাবে অবিবাহিত বলেই মনে করা হচ্ছে।  মৃতদেহের পাশ থেকে এক জোড়া জুতো উদ্ধার হয়েছে । যেটি পুরুষের বলে মনে করা হচ্ছে।

পাশাপাশি কিছু দেশলাই কাঠি উদ্ধার হয়েছে। ঘন আমবাগানের মধ্যেই দেহটি পড়েছিল। উপর থেকে নিচ পর্যন্ত আগুনে ঝলসানো অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে দেহটি।  মৃতদেহটি কেরোসিন তেল ঢেলে পড়ানো হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

মৃত ওই যুবতীর দেহের গোপনাঙ্গ এবং স্পর্শকাতর জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখে মনে করা হচ্ছে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে ওই যুবতীকে। তারপরে প্রমাণ লোপাটের জন্য আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।এই ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত কোতোয়ালি এলাকার বাসিন্দারা । তাঁরা অনুমান করতে পারছেন না যে এরকম ঘটনা তাদের এলাকায় ঘটতে পারে।  এর আগে এই ধরনের ঘটনা এলাকায় কখনোই ঘটে নি বলে দাবি গ্রামবাসীদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা, জানিয়েছেন সকালে জমিতে কাজ করতে যাওয়ার সময় কয়েকজন মানুষ পোড়া ওই অর্ধনগ্ন যুবতীর দেহ দেখতে পাই। এরপরই গ্রামজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।

হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন কাউন্সিলের মালদা জেলা সভাপতি শুভদীপ সরকার ঘটনা সম্পর্কে বলেন, এই ধরনের ঘটনা কখনোই বরদাস্ত করা যাবে না। অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং নিন্দাজনক ঘটনা ।অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। দোষীদের গ্রেপ্তার এবং কঠোর শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছেন তিনি।