অবতক খবর,১ ডিসেম্বর : গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বান্ধবীর বাবার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ পরিবারের। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। মেয়ের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার। অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনার তৎক্ষণাৎ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার তুলসীহাটার মস্তান মোড়ের এক বাড়িতে। মৃত ওই ছাত্রীর নাম স্নেহা সাহা, বয়স ১৮বছর। পরিবার সূত্রে খবর দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী স্নেহার বান্ধবী ছিল বিহারের আজিমনগরের বাসিন্দা জ্যোতি শা। তুলসিহাটায় দাদুর বাড়ি ছিল স্নেহার বান্ধবী জ্যোতি শার। তুলসীহাটায় দাদুর বাড়িতে থেকে একই সঙ্গে পড়াশোনা করত পড়াশোনা করতো দুই বান্ধবী। বান্ধবী জ্যোতি শা কিছু দিন আগে বিয়ের জন্য তার প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায় বাড়ির অমতে। এই ঘটনায় জ্যোতির বাবা মনোজ শা ক্রমাগত দায়ী করতে থাকে স্নেহাকে। ফোন করে দেওয়া হয় বিভিন্ন রকম হুমকি। এমনকি ঘরবাড়ি ভাঙ্গা থেকে শুরু করে আর্থিক ভাবে চাপ দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে মনোজ শার বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি সেই মানসিক চাপ সহ্য না করতে পেরে আত্মঘাতী হয়েছে স্নেহা। ঘটনাস্থলে এসেছে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজে। সমগ্র ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।