অবতক খবর,২৬ মেঃ আদালতে ধাক্কা। মালদার হবিবপুরে শুভেন্দু অধিকারীর সভা পিছিয়ে দিল বিজেপি নেতৃত্ব। ২৭ তারিখের পরিবর্তে ১২ ই জুন হবিবপুরে সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। জানালেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। তবে আগামীকাল মালদার মানিকচকে সভা করবেন শুভেন্দু। প্রথমে অনুমতি দিয়ে পরে হবিপুর থানার পুলিশ তা বাতিল করায় তৃণমূলের ষড়যন্ত্র দেখছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

মালদহে ২৭শে মে দুইটি সভা ছিল। একটি মালদহের মানিকচকের মথুরাপুর। অন্যটি ছিল হব্বিপুর থানার কেন্দপুকুর এলাকায়। সেই মত প্রশাসনের কাছে সভার আবেদন করেন মালদহ জেলা বিজেপি।১৮ই মে থানায় সভার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন বিজেপি নেতৃত্ব। উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্তের অভিযোগ ১৯ তারিখ সভার অনুমতি দেয় পুলিশ।এমনকি ২৪মে মাইক বাজানোর অনুমতি দেওয়া হয় মহাকুমা শাসকের তরফে। কিন্তু এরপর রাতে সভার অনুমতি বাতিল করে দেয় হবিবপুর থানার পুলিশ। একই দিনে মানিকচকে সভা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর সেই কারণে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন করা সম্ভব নয়, জমির মালিকের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি এবং ১৫ দিন আগে আবেদন করা হয়নি বলে অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে বলে হবিবপুর থানা উল্লেখ করে চিঠিতে। এরপর ২৫মে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। এরপর ওইদিন হাইকোর্ট হব্বিপুরের রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর সভা বাতিল করে দেয়। কিন্তুু মানিকচকের সভা ২৭মে হবে। সেই মত প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, অভিষেকের নব জোয়ারে লোক হয়নি। ভয় পেয়েছে। শুভেন্দুর সভা হলে তৃণমুল বলে কিছে থাকবেনা। পঞ্চায়েতে আসন পাবে না। তাই তার সভার অনুমতি দিচ্ছে না। আর সেই কারণে তৃণমূলের অঙ্গুলী হেলনে বিরোধী দলনেতার সভার অনুমতি দিল না পুলিশ।

উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুরমু বলেন,সারা রাজ্য জুড়ে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারিকে ভয় পাচ্ছে শাসকদল। সেই কারনে সভা বাতিল করলো। তবে এই সভা হবে আগামী ১২ই জুন একই মাঠে।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন,আমরা কোথাও সভা করতে বাঁধা দেয় নি। তৃণমূলের ঘারে দোষ চাপাচ্ছে। তারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ১০০টা সভা করেছে কোথাও বাধা দেয় নি। তারা বিশৃঙ্খলা করতে চাই। তাড়া আইন মানে না। সঠিক ভাবে আবেদন না করায় উনুমতি পায় নি। এরা কথাও গেলে মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে যায়। ফলে তৃণমুল কংগ্রেস ভীত সন্ত্রস্ত নয়। তারা সঠিক ভাবে আইন মেনে কাজ করে তাই সভার অনুমতি পাইনি।