অবতক খবর,২৯ এপ্রিল,ব্যারাকপুর : আবার ও পুলিশের মানবিক উদ্যোগ নজির দৃষ্টান্ত স্থাপন করল নিউ বারাকপুর থানার পুলিশ ।চলতি বছরে ২৬ ফেব্রুয়ারি এক মানসিক ভারসাম্য হীন মহিলাকে কলকাতা পাভলভ হাসপাতালে চিকিৎসা সুস্থ করে নদীয়া জেলার হরিনঘাটা থানার নগরউখড়া ফাড়ির কাষ্টডাঙা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নিমতলা বাজার উত্তর ব্রহ্মপুর বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছিল নিউ বারাকপুর থানার তদন্তকারী অফিসাররা।

গত শনিবার রাতে নিউ বারাকপুর থানার কর্তব্যরত টহলরত পুলিশ পুরসভার ২০ নং ওয়ার্ডের বাশঁতলা মেড প্লাস ওষুধের দোকানের সামনে এক মানসিক ভারসাম্য হীন বৃদ্ধ কে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার উদ্ধার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে তার ভাড়া বাড়ির ঠিকানা (বিশরপাড়া সপ্তগ্রাম) সহ একমাত্র মেয়ের নাম। পুলিশ সূত্র মারফত বৃদ্ধর মেয়ে কে খুঁজে বের করেন।ঘটনাস্থলে তার মেয়ে এসে বাবাকে দেখে বলেন এত রাতে বাবার চিকিৎসার প্রয়োজন। পুলিশ পুরসভার ২০ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় পুর প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন গুলি কে অনুরোধ করেন অসহায় বৃদ্ধ ও তার মেয়ে কে এক রাতের থাকার সুবন্দোবস্ত করার জন্য। ঘটনাস্থলে বেশ কিছু ছেলে দ্রুত ছুটে আসেন কিন্তু কোন সুরাহা করতে পারে না। অবশেষে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার মাঝ রাতেই নিরুপায় হয়ে বড় বাবু কে সমস্ত ঘটনাটি জানালে।

থানার বড় বাবু পুরসভার ডাঃ বি সি রায় জেনারেল হাসপাতাল ও মাতৃসদনে জরুরী বিভাগে রাতেই বৃদ্ধ র প্রাথমিক চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত করেন। এবং রাতেই থানায় থাকার এবং খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। রবিবার সকালে ওয়ারেসের জল চা বিস্কিট রুটি তরকারি টিফিন খাবার পর দুপুরে চুল দাড়ি কাটিয়ে স্নান করে নতুন পোষাক পরান হয়। তারপর ভাত মাছ ডাল মধ্যাহ্ন ভোজ পরিপাটি করে খাওয়ানো হয়।বিকেলে পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবীর সাহার সাথে কথাবার্তা বলে স্নেহের বন্ধন আবাসিক দের হোমে স্থায়ী থাকবার ব্যবস্থা করে দেন। পুলিশ জানিয়েছে অসহায় বৃদ্ধর নাম প্রনব ঘোষ(৫৮)।মেয়ের বক্তব্য অনুযায়ী তার বাবা ৬ মার্চ থেকে নিখোঁজ।ছয় মাস আগে ভালো ছিল। একসাথে দুজনে ভাড়া বাড়িতে থেকে কাজকর্ম করত আলাদা।বাবা একটি সোনার দোকানে গার্ড এর কাজ করত। কাজ চলে যাওয়ায় ভাড়া বাড়িতে মালিক বসবাস করতে দেয়নি। মেয়ে আশ্রিতা পরিচারিকার কাজ করত। মেয়ে মৌমিতা ঘোষ পুলিশের মানবিক উদ্যোগে খুশি ও আনন্দিত।পুলিশ সমাজের বন্ধুর মতো সবসময় পাশে থেকেছে। ভাবতেই পারিনি। এত সুন্দর ভাবে সেবা যত্ন করে থাকার সুবন্দোবস্ত করবে। গর্বিত ও কৃতজ্ঞতা জানাই নববারাকপুর থানার বড় বাবু সহ পুলিশ আধিকারিক দের।