মানবজনম
তমাল সাহা

ও মন!
তুমি তো দল করো না।
কবে থেকে ডাকছো তুমি
তোমার কথা কেউ শোনে না।

ও মন!
থাকো তুমি কোনখানে?
পঞ্চবটী তলে ওই অঙ্গনে।
তুমি বলো, মাতরে তুই বৃন্দগানে।
মন রে!
কথা তোর শোনে কোন শয়তানে?

রে মন!
রইলে কোথায়?
রামপ্রসাদের ভিটের পরে!
ও মন!
বেড়ার দড়ি ঘুরিয়ে দে রে
যাবো লয়ে তোরে গঙ্গা-নীরে।

দে মন আমায় তবিলদারি
ধন-দৌলত হেলায় ফেলি।
আয়রে মন সঙ্গ করি
ভবের ভেলায় দুজন চড়ি।

চল মন বেড়াতে যাবি–
ভিক্ষের ঝোলা কাঁধে নিবি।
একে বলে মাধুকরী–
পদব্রজে বাড়ি বাড়ি,
দোরে দোরে হাত বাড়াবি।
মানুষ! বলে কেঁদে ভাসাবি।
হৃদয়ে যে তোর গোপন ব্যথা
মানুষটিরে পাবি কোথা!

ওরে মন!
তোর কাছে আর কিবা মাগি।
ওই দ্যাখ বসন ছেড়ে কে দাঁড়িয়ে
দেখে নে তার রূপের খেলা।
সাঙ্গ হলে ভবের পালা
আসবে জোয়ার উজায়ে যাবে
ভাটিয়ে যাবে ভাটার বেলা।

ওরে মন! মনরে আমার
বলছি তোরে
আমারে যম ছোঁবে নারে!
আমার যে জাত গিয়েছে
দিগম্বরীর হাত লেগেছে।
আমি তোর আসামিরে মন
আমার গৃহ মানব ভবন।
তার সঙ্গে করি ভ্রমণ
তোর সঙ্গেই আমার রমণ!

ও মন!
এবার আমি করবো কৃষি।
আয়রে মন!
জঙ্গল সরাই, জমি চষি।
মনরে আমার!
তুমি আমায় সব শিখালে
লাঙল ধরবার শেখালে না!
ও মন!
তুমি কি কৃষিকাজ জানো না?
আমার মানবজনম হেলায় গেল
আবাদ করলে ফলতো সোনা!