অবতক খবর,২ অক্টোবর,নদীয়া: কোভিড মহামারি পরিস্থিতির পর এবছর দুর্গাপুজো মেতে উঠেছেন আপামর বাঙালি। শিশু থেকে বৃদ্ধজন প্রত্যেকেরই মনে উচ্ছ্বাস চরম পর্যায়। যদিও রবিবার সপ্তমীর সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হলেও সর্বত্র বিভিন্ন নদী ও স্হানীয় পুকুরে নব পত্রিকা স্মাণ পর্ব চলল।

নদীয়ার নবদ্বীপ থেকে শুরু করে কৃষ্ণনগর রানাঘাট থেকে শুরু করে কল্যাণী মাজদিয়া বিভিন্ন জায়গায় সপ্তমীর সকালে নবপত্রিকা স্নান পর্ব চলল। বিভিন্ন পূজা কমিটির সদস্যরা ঢাক ঢোল বাজনা সহকারে নব পত্রিকা স্মাণ পর্ব চলে। ভাগীরথী চূর্ণি মাথাভাঙ্গা এবং জলঙ্গী নদীতে নির্দিষ্ট সময়ে নব পত্রিকা স্মাণ করানো হল। প্রধানত নবপত্রিকা স্নানের মাধ্যমেই দেবীর আগমনের সূচনা করা হয় এমনটাই জানালেন মাজদিয়ার এক পুরোহিত।

নবপত্রিকা বাংলার দুর্গাপূজার একটি বিশিষ্ট অঙ্গ। নবপত্রিকা শব্দটির আক্ষরিক অর্থ নটি গাছের পাতা। তবে বাস্তবে নবপত্রিকা নটি পাতা নয়, নটি উদ্ভিদ। এগুলি হল – কদলী বা রম্ভা (কলা), কচু, হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (দাড়িম), অশোক, মান ও ধান। একটি সপত্র কলাগাছের সঙ্গে অপর আটটি সমূল সপত্র উদ্ভিদ একত্র করে একজোড়া বেল-সহ শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লালপাড় সাদা শাড়ি জড়িয়ে ঘোমটা দেওয়া বধূর আকার দেওয়া হয়। তারপর তাতে সিঁদুর দিয়ে সপরিবার প্রতিমার ডান দিকে দাঁড় করিয়ে পুজো করা হয়। প্রচলিত ভাষায় নবপত্রিকার নাম কলাবউ।