অয়মারম্ভঃ অন্যদুর্গা

অমাবস্যার অপসারণ। অশৌচকালের পরিসমাপ্তি। এসো, আলোর অভিমুখে যাই। জাগতিক শুভ কামনা করি— তমসোমাজ্যোতির্গময়!

মহালয়া 

তমাল সাহা 

ওই তো জারুল গাছের ফাঁক দিয়ে

নীলকন্ঠ উড়ে আসে

রঙ ছড়িয়ে ছিটিয়ে জবাকুসুমসঙ্কাশ।

শিশির মাখা খেতের আলপথ ধরে

হেঁটে চলেছেন তিনি।

পাশে মথুরা বিল আলোয় উজ্জ্বল

রঙিন হয়ে চেয়ে আছে অজস্র শতদল।

তিনি চলেছেন গাঙ্গেয় প্রবাহের দিকে…

পরনে শ্বেতশুভ্র বস্ত্র

হাতে তার মাঙ্গলিক কোশাকুশি।

এভাবে প্রজন্ম হেঁটে যায় তর্পণে,

জেগে থাকে পিতামহেরা চোখের দর্পণে।

জল দাও! জল দাও!

হে প্রজন্ম আমার! উত্তরপুরুষ!

কেটে যাক অমাবস্যার রাত, সমস্ত কলুষ।

জীবন তো আমাদের কৃষ্ণপক্ষের ভেলায়

মহালয় হয়ে গেছে অনেক।

এবার চলো মহময় আলয়ের দিকে যাই।

মাতৃপক্ষে স্বদেশ জননী ডেকে যায়

কাছাকাছি পাশাপাশি থেকো সবাই।

সর্ব্বেষাং মঙ্গলং ভূয়াৎ সর্বেসন্তু নিরাময়ঃ।

সর্বে ভদ্রাণি পশ্যন্তু মা কশ্চিৎ দুঃখ ভাগ ভবেৎ।।

এ তো পুজো নয়, সর্বজনীন উৎসব

পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণ ঈশান বায়ু অগ্নি নৈর্ঋত ঊর্দ্ধ অধঃ থেকে

ভেসে আসে অজস্র কলরব।

তুমি দেবী নও—

বীরাঙ্গনা, সর্বজয়া, অন্নপূর্ণা

তুমিই পৃথ্বী সম্পূর্ণা।

পঞ্চজন মিলিত হয়

বেজে ওঠে পাঞ্চজন্য….

অস্ত্র দাও মা গো!

দাও ক্ষুধার অন্ন!

নমস্তসৈ নমোহ নমঃ