এবার গুরুতর অভিযোগ উঠল কল্যাণীর সরকারি হাসপাতাল জেএনএম-এর বিরুদ্ধে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে বিতর্কে জড়িয়েছে জেএনএম হাসপাতাল। কিন্তু এবার ময়নাতদন্তের জন্য টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি কোন কিছু মানেই নিখরচায় পরিষেবা। আর সেটা যদি সরকারি হাসপাতাল হয় তবে তো কোন কথাই নেই। এই অঞ্চলে সরকারি হাসপাতাল বলতে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেছে। উত্তর ২৪ পরগণা,নদীয়া,হুগলি সহ দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। কিন্তু এবার কি তবে ময়নাতদন্তের জন্য এই সরকারি হাসপাতালে টাকা খরচা করতে হবে সাধারণ মানুষকে? এই প্রশ্ন এখন সকলের মুখে মুখে। মূলত ডোমেরাই টাকা দাবি করছে মৃতের পরিবারের কাছ থেকে। টাকা না দিলে হুমকিও দিচ্ছে তারা। তারা তোয়াক্কা করছে না প্রশাসনকেও। ঘটনার বিস্তারিত জানা গেছে,গত বুধবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিপ্লব লাকড়া নামে এক ব্যক্তি। স্বভাবতই ওই মৃতদেহ আনা হয় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে। সেখানেই ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা। কিন্তু মৃতের পরিবার মর্গে ঢুকতেই মুখোমুখি হন চারজন ডোমের। তাদের মধ্যে রঞ্জিত মল্লিক নামক এক ডোম মৃতের পরিবারকে জানায় যে, ময়নাতদন্ত করতে ২২০০ টাকা লাগবে। এই কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যান মৃতের পরিবার। তারা এর প্রতিবাদ করতে গেলে সেখানে উপস্থিত ডোমরা বলে, টাকা তাদের দিতেই হবে। না হলে ময়নাতদন্তের পর সেলাই করা হবে না। তারা এও বলে, যেহেতু তারা স্থায়ী কর্মী নন তাই টাকা তাদের দিতেই হবে। আর প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হবে না। রীতিমতো হুমকির সুরে তারা মৃতের পরিবারকে এই সকল কথা বলে। জানা গেছে,এই ঘটনা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। প্রত্যেক ময়নাতদন্তের জন্য ডোমরা মৃতের পরিবারের থেকে ২ হাজার বা তারও বেশি টাকা দাবি করে। আর যদি মৃতদেহ কল্যাণী অঞ্চলের হয় তবে তো কোন কথাই নেই, ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত তারা হাতিয়ে নেয় মৃতের পরিবারের কাছ থেকে। এ বিষয়ে হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ মুখার্জীর সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন, ‘এইরকম ঘটনায় এর আগেও এক ডোমকে প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এসব যে আবার চালু হয়েছে তা জানা ছিল না। বিষয়টি আমি দেখছি, এর যথাযথ ব্যবস্থা আমি নেব।’