অবতক খবর,১৫ ডিসেম্বর : পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যাদের পরিবারের লোকজনের নাম নথিভুক্ত করা রয়েছে আবাস প্লাস প্রকল্পে। এই মর্মে মন্তেশ্বর ব্লক অফিসে অভিযোগ জানালো বিজেপির নেতৃত্ব। এ বিষয়ে বুধবার মন্তেশ্বরে বিজেপির ১৪ নম্বর মন্ডল সভাপতি ঝুলন হাজরা বিডিওর কাছে পেশ করা লিখিত অভিযোগ জানান। মন্ডল সভাপতির অভিযোগ মন্তেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়ে প্রধান কিছুদিন আগে গীতাঞ্জলি প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন। দোতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। তা সত্ত্বেও আবাস প্লাস প্রকল্পে তালিকায় নাম রয়েছে। উপপ্রধান রফিকুল ইসলামের ভাই এবং ভারুচা পঞ্চায়েত সদস্যা সঞ্চিতা ঘোষের স্বামী সহ পরিবারের আরো কয়েকজনের পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস প্লাস যোজনা নাম নথিভুক্ত রয়েছে। যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি যখন সমীক্ষা হয়েছিল তখন তার বাড়ি কাঁচা ছিল। ছেলে কয়েক বছর ধরে কেরলে কাজ করে, ও স্বামী চাষ আবাদ করেন। এইসবের ফলেই পাকা বাড়ি করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই তৃণমূল সদস্যরা। উপপ্রধান রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী কাঁচা বাড়ি থাকায় তাদের নাম আবাস প্লাস যোজনায় নথিভুক্ত হয়েছিল। তারপরে অনেকেই নিজেদের উদ্যোগে পাকা বাড়ি করেছে। বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে তৃণমূল দলকে বদনাম করার জন্য।
মন্তেশ্বর বিডিও গোবিন্দ দাস বলেন, ‘ অভিযোগ আসা ওই সমস্ত উপভোক্তাদের নাম ইতিমধ্যেই আবাস প্লাস তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। আমাদের এই ব্যাপারে সুপার চেকিং চলছে, এই সুপার চেকিংএ যারা ঘড় পাবার যোগ্য তারা পাবে, আর যারা যোগ্য নয় তারা ঘড় পাবে না।