অবতক খবর,৬ ডিসেম্বরঃ মঙ্গলবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

শুভেন্দুর সভায় বাধা?

এটা নতুন কিছু না। আমি বিগত সাত বছর ধরে এ জিনিস দেখে আসছি। হয় সভা করতে দেওয়া হয়না। নয় সবকিছু ভেঙে দেওয়া হয়। এরা বলে মুক্ত গণতন্ত্র। শান্তিপূর্ণ ভোট। এসব ডায়লগ শুনি। বাস্তবে বোঝা যায় পরিস্থিতি কি। ওরা বাঁচার জন্য শক্তি, গুন্ডামির আশ্রয় নেয়।

শিরাকোলের ঘটনা আজও মনে পড়েঃ

ওরা পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে। গাড়ি ভেঙে দিতে পারে। ওদের তখন যে জেলা সভাপতি ছিল, সওকত মোল্লা, নিজে বিধায়ক। আমি সেদিন নাড্ডার গাড়িতেই ছিলাম। ও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। উস্কানি দিচ্ছিল। রাস্তায় মাইক বাজিয়ে লোককে উত্তেজিত করছিল। ফলে আমাদের সবার অপর অ্যাটাক হয়। দশটা গাড়ি ভাঙচুর হয়। নাড্ডার গাড়ি বুলেট প্রুফ ছিল বলে তিনি অক্ষত থাকেন। কৈলাশ বিজয়বর্গীর হাতে ইট লাগে। নাড্ডা যদি সুরক্ষিত না হন, তাহলে কে সুরক্ষিত?

যদি আজ আবার তাই ঘটে?

আমি নিজে এই অবস্থায় সভা করেছি। বিরোধি দলনেতা ক্যাবিনেট পর্যায়ের নেতা। *তার সুরক্ষা যদি রাজ্য পুলিস দিতে না পারে তাহলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া উচিৎ।

ট্রাফিক জরিমানার কবলে শুভেন্দুঃ

এইভাবে আটকানোর চেষ্টা চলছে। পুলিস দিয়ে। যে দলের লোকেরা আইন মানে না। যে দলের নেতারা বেআইনিভাবে লালবাতি ব্যবহার করে, তারা বিরোধি দলনেতাকে ডাইরেক্ট ফাইন করে দিচ্ছে। সারা দেশ ও দুনিয়া দেখছে এখানে কি চলছে।

ভগবানপুরে বিস্ফোরণঃ

যেখানেই তাকাই হয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ। অথবা বিস্ফরোণের ঘটনায় তৃণমল নেতার নাম। তারাই প্রধান, তারাই পঞ্চায়েত, তারাই বিধায়ক। তারাই সমাজবিরোধী। এদের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায়না।

অভিষেকের ভিডিও হুঙ্কারঃ

আগেও হুঙ্কার দিয়েছেন। কিছু যায় আসে না। উনি আমাদের নেতার বাড়ির সামনে সভা করছেন। অনুমতি আছে কিনা জানিনা। পুলিস প্রোটেকশন দিচ্ছে। আর আমরা আদালতের অনুমতি নিয়ে সভা করছি, সেখানে গা জোয়ারি করা হচ্ছে। মানুষ সব দেখছে।

বাধা এলে দেখা যাবেঃ

কর্মীদের আটকানো হবে। বাধা দেওয়া হবে। রাস্তায় মারা হবে। ভয় দেখানো হবে। এ পরিস্থিতি মেনে নিয়েই আমরা রাজনীতি করি। এই গুন্ডামির বিরুদ্ধে বিজেপি রুখে দাঁড়িয়েছে বলেই মানুষ বিজেপির পাশে আছে।

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এর মন্তব্য নিয়েঃ

সব জায়গায়, সব দেশে, সব দলে খারাপ ভালো দু ধরনের লোক থাকে। শুধু চোরেদের নিয়ে দল, এটা প্রথমবার দেখলাম। সেটা হল তৃণমূল। উপর থেকে নিচে, চোরেদের দল। উনি ওখানে টিকে আছেন, আশ্চর্য লাগছে। ছেড়ে দিন। বাকি চোরেদের মধ্যে থাকার মানে কি?

হুক্কাবার বন্ধ করা নিয়েঃ

ওয়াইন বার গুলো বন্ধ হবে না? হুক্কাবার থেকে কি দুষ্কর্ম ছড়াচ্ছে জানিনা। কিন্তু পাড়ায় পাড়ায় ঠেক খুলে দিয়েছেন। বাড়িতে বাড়িতে মারপিট। পাড়ায় পাড়ায় মারপিট। কারণ ওয়াইন বার থেকে পয়সা আসছে। হুক্কাবার থেকে আসছে না হয়তো। তাই বন্ধ করে দিচ্ছেন।