অবতক খবর,১৬ জানুয়ারিঃ বালি, বালি, আর বালি। সাদা বালি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ যে,গঙ্গা থেকে সাদা বালি তোলা যাবে না।এখন দেখা যাচ্ছে গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলগুলিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য কাজ চলছে। পাশাপাশি ঘাটগুলিতে চলে গঙ্গাস্নান এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে এখন শুরু হয়েছে গঙ্গা আরতি। কিন্তু এই গঙ্গায় যে কত প্রাণ যাচ্ছে তার হুঁশ নেই কারোরই।

কিছুদিন গঙ্গা থেকে বালি তোলা বন্ধ থাকলেও এখন আবার নতুন পদ্ধতিতে বালি তোলার কাজ শুরু হয়েছে।

বাগমোড়ের বাসিন্দা এক যুবক এই বালি তোলার কাজে সরাসরি জড়িত। আগে বড় বড় ডাম্পারে করে বালি পাচার হয়ে যেত। কিন্তু এখন চলছে নতুন পদ্ধতিতে বালি পাচারের কাজ। বড় গাড়ির বদলে ছোট ছোট গাড়ি করে চলে যাচ্ছে সাদা বালি। আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই বালি মাফিয়ারা দিনের পর দিন এই বালি তোলার কাজ করে চলেছে। কিন্তু তাতে যে কত মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে,তার পরোয়া নেই তাদের। কারণ তাদের শুধু প্রয়োজন কামাইবাজি।

প্রশাসন এ বিষয়ে আশ্চর্যজনকভাবে নীরব। কারণ যে অঞ্চল থেকে বালি তোলা হচ্ছে সেটি কল্যাণী থানার অন্তর্গত। অন্যদিকে যে রাস্তা দিয়ে বালি চলে যাচ্ছে সেটি বীজপুর বিধানসভার হালিশহর থানার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল।

আর এই দুই থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে কল্যাণী থানা বলছে,এটি যে অঞ্চল দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে সেটি আমাদের অঞ্চল নয়। অন্যদিকে হালিশহর থানায় গেলে তারা বলছেন কল্যাণী থানার অন্তর্গত অঞ্চল থেকে বালি তোলা হচ্ছে।সুতরাং এটি কল্যাণী থানার কেস। দায়িত্ব নিতে এগিয়ে আসছে না কেউই,কিন্তু কামাই করতে চলে আসে সকলেই। এমনই অভিযোগ করছে বিজেপি।

সকালের দিকে বাগমোড় থেকে গঙ্গার দিকে গেলেই আপনি দেখতে পাবেন যে ছোট ছোট গাড়ি করে বালি বেরিয়ে যাচ্ছে। আর এই কাজে মদত দিচ্ছে বাগমোড় অঞ্চলেরই এক বাসিন্দা, যার নাম বলতে ভয় পাচ্ছেন এলাকাবাসী। তবে সেই নাম খুঁজে বার করে খুব শীগ্রই আমরা প্রকাশ করব।

উচ্চ মহলের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এই বালি মাফিয়ারা কিভাবে এত সাহস পায় এই কাজ করার?

আর এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা বিজেপি নেতা সমর দাস বলছেন, শাসকদলের মদতেই তো চলছে এইসব কাজ। ভোর ৫টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত এই কাজ চলছে। কারণ শীতের সময় এত সকালে কারোরই নজর পড়ে না এই সকল বিষয়ে। আর সেই সুযোগ নিচ্ছে এই বালি মাফিয়ারা।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলে থাকেন সব দিকে আমার নজর আছে। এই তো তার নজরদারি! আসলেএই আমলে রাবরি সিস্টেমে কাজ চলছে, নিচে আগুন দেওয়া হচ্ছে ওপরে হাওয়া দেওয়া হচ্ছে।