অবতক খবর,২৬ এপ্রিল: বীজপুরে ভোট মিটেছে ২২শে এপ্রিল। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস তো চলছেই,সেই সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে কামাই বাজি। আসলে বীজপুর এমন একটি জায়গা যেখানে কামাই বাজদের কামাই শেষ হয় না।

কাঁচরাপাড়া ২১ এবং ২৩ নং ওয়ার্ডে প্রচুর পুকুর ছিল। কিন্তু সেগুলো এখন লুপ্ত প্রায়। সেগুলো ভরাট করে একের পর এক বাসস্থান গড়ে উঠছে। আর সেগুলো বিক্রি হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকায়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলছেন,ভোট তো শেষ।তাই বেকার ছেলেদের নেতাদের পেছন পেছন ঘোরাও শেষ। তাহলে এখন তারা কি করবে। আসলে তোলাবাজি,কামাইবাজি করেই তারা অভ্যস্ত। পড়ালেখাও তেমন করেনি তারা যে নিজের যোগ্যতায় কোন কাজ পাবে। তাই তারা আবার তাদের এই কর্ম শুরু করেছে।
আমাদের এইসমস্ত অঞ্চলের গলির রাস্তাগুলো ছোট ছোট। অগ্নিকাণ্ড ঘটলে এই সমস্ত পুকুরের জলই আমাদের ভরসা। কারণ এই সমস্ত রাস্তায় দমকল ঢোকার উপায় নেই।
কিন্তু সেই পুকুরগুলিও এই কামাইবাজরা ভরাট করে বিক্রি করে দিচ্ছে।


অন্যদিকে তারা জানাচ্ছেন যে,এগুলি যেহেতু রেল অঞ্চল তাই এই কামাইবাজদের মদত দিচ্ছে আরপিএফ। এই রেল অঞ্চলে তিনতলা বাড়িও দেখতে পাবেন। আরপিএফ-এর মদত ছাড়া এ কি করে সম্ভব! রঙীন পানীয় এবং হাতে ১৫-২০ হাজার টাকা দিয়ে দিলেই তারা খুশি। এইভাবেই এখানে তোলাবাজি,কামাইবজি চলছে। এখন এই নিয়ে কোন দলের কোন নেতারই কোন হেলদোল নেই। তাদের এখন ২রা মে নিয়ে চিন্তা। কিন্তু সেই সুযোগই এখন এই কামাই বাজরা নিচ্ছে।

তবে আগে এই ভরাট রাতের অন্ধকারে হতো। এখন প্রকাশ্যে দিনের আলোতেই ভরাট চলছে। কারণ তাদের এখন বলার কেউ নেই। এই সমস্ত কার্যকলাপ যে কেউ আটকাবে সেই রকম নেতা এখন কাঁচরাপাড়ায় নেই।

স্থানীয়রা এও বলেন,যেহেতু এখন আরপিএফ টাকা পাচ্ছে,তাই তারা চুপ। টাকা না পেলেই তারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে।