ভোটের বাজার এখন চরম গরম। টুকুনের মাথায় ভোট নিয়ে উত্তেজনা।

ভোট মন্দির মসজিদ খায়
তমাল সাহা

টুকুন বলল,
বাবা! ভোট কি ভক্ষক, খাদ্যভোজী?
তারপরেই বলল, সে কি খাদ্যরসিক?

বাবা! ভোট কী কী খায়?

ভোটের কি প্রাণ আছে, যে ভোট খাবে? ভোটের কি মা বৌ আছে যে তাকে তারা খেতে দেবে

টুকুন বলে,
তুমি কিছুই জানো না। ভোট নিজে নিজেই খায়।
ভোট নিরামিষাশী নয়, ভোট আমিষাশী।

তুই কি করে বুঝলি? প্রমাণ দিতে পারবি?

বাবা! ভোটেরও ভগবান ভয়, ভক্তি আছে।
টুকুন বলে,
ভোট ধর্মবিশ্বাসী। ভোট প্রার্থীরা ঢাকুরিয়ার কালী মন্দিরে,
কালীঘাটের কালী মন্দিরে, দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরে যাচ্ছে।
আর বামাক্ষ্যাপার কথা বোলো না।
তার সিদ্ধাচরণ ভূমি তারাপীঠ।
মা তারা! ভোটের একতারা, দোতারা, তিনতারা, সাত তারা বাজিয়ে ফেলেছে।
সবাই সেখানে যায়।
কথায় বলে না, গণতান্ত্রিক!
বামাক্ষ্যাপা তান্ত্রিক মতে পুজো দিয়েছিলেন।
তাই সেখানে ভিড় বেশি।

অনুব্রত কথার মানেটা কি?
ব্রতকে অনুসরণ করে যে। বা অনবরত।
অনবরত ভোট চালক – মস্তানদের সেখানে যাতায়াত।

বুঝলাম। ভোট তো তোর দেবদেবী খেলো। আর কি খায়?

মন্দিরে মন্দিরে যায়। সুতরাং মন্দির খায়।
টিপু সুলতান মসজিদে যারা গেল, চশমা বাবার মাজারে যারা গেল, মাথায় হিজাব পরল, ফেজ টুপি পরল, তারা পুরোপুরি আল্লাকে গিলে ফেলল।

ভোট মাংসাশী।
ভোট বেশিরভাগ শাক্ত হলেও, বৈষ্ণবও রয়েছে।
এক প্রার্থী খোল, করতাল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে নগর কীর্তনে।
সে মৃদঙ্গ বাজায়। মানে সে মৃদঙ্গ খায়।
সে ধাতব করতাল খায়।
ভোট শেষ পর্যন্ত নরমাংস খায়,
নররক্ত পানও করে।
ভোটের আগে বোমা পড়ে।
সন্ত্রাস তৈরী হয় পাড়ায় পাড়ায়।
কত লাশ পড়ে থাকে।
ভোটের দিন রক্ত ঝরে।

ভোট সর্বভুক।
আর আমরা ভোটাররা! উজবুক।