আজ ভূত চতুর্দশী। ভারতীয় উপমহাদেশে ভূতপেত্নির নৃত্য শুরু হয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক জীবন বিপর্যস্তের অভিমুখে…

ভূত চতুর্দশী
তমাল সাহা

ভারতীয় উপমহাদেশে বিস্তীর্ণ চরাচরে
মামদো ভূত-শাকচুন্নি প্রেতিনী দীর্ঘপদে বিচরণ করে।

তাহারা প্রলম্বিত হস্তে সাধারণের গলদেশ চাপিয়া ধরে,রক্ত পান করে—
দুই কশ বাহিয়া
লোহিত তরল ঝরিয়া পড়ে।

তারপর মত্ত হয় আশ্চর্য রমণে।
প্রকাশ্য পরিব্রজনে কবি দেখে
অভূতপূর্ব দৃশ্যাবলী—
পড়িয়া আছে রক্তমাখা কত নরখুলি।

এই মরা দেশে ভূত চতুর্দশীর
তিথি নক্ষত্র লাগেনা।
এইখানে মানব জীবনে প্রতিদিনই
ভূত চতুর্দশী।
ভূত ও পেত্নীর ক্রম জ্বালাতনে হায়!
আমরা দাহ্য পদার্থ, জ্বলিতে থাকি খুব বেশি।

ধনতেরাসে কিনিয়াছ সোনার গহনা তুমি!
তাহার বদলে কিনিয়া রাখো সম্মার্জনী।
মার! ঝাড়ু মার! ঝাড়ু মারিয়া
বিদায় কর ভূত-পেত্নী বাহিনী।