ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরী করে ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা,শিক্ষিত প্রতারকদের কীর্তিতে অবাক পুলিশও

অবতক ,১৫ এপ্রিলঃ ত্রিবেনীর বাসিন্দা মনোজিৎ সাউ গত ১লা ফেব্রুয়ারী মগড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।বেসরকারি(বন্ধন) ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারনা করার।প্রতারিত হন মনোজিৎ এবং তার স্ত্রী।অভিযোগ পেয়ে মগড়া থানার পুলিশ তদন্তে নামে।নদীয়ার রানাঘাট থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে।ধৃত চন্দন রায়,সৌগত বৈরাগী,অর্নব বিশ্বাস, সৈকত গাঙ্গুলী ও সঞ্জয় দাসের বাড়ি রানাঘাটে।ধৃতদের কাছ থেকে আটটি মোবাইল ফোন,একটি ল্যাপটপ নগদ চল্লিশ হাজার টাকা এবং বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে পুলিশ।বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে গতকাল চুঁচুড়া আদালতে পেশ করে ছয়দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

হুগলি গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌমদ্বীপ ভট্টাচার্য আজ মগড়া থানায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানান,এই চাকরি প্রতারনা চক্র আগে একবার কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পরেছিল।ধৃতদের মধ্যে সুজয় দাস কম্পিটার নিয়ে পড়াশোনা করেছে।প্রতারনার জন্য টপ মডেলের আই ফোন দামি ল্যাপটপ ব্যবহার করত।বেসরকারি ব্যাঙ্কের ভুয়ো ওয়েব সাইট তৈরী করে ফেসবুক বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে জাল ছড়িয়ে শিকার ধরত।প্রথমে ফর্ম ফিলাপের জন্য অল্প টাকা এরপর রেজিষ্ট্রেশনের নামে কয়েক হাজার।তারপর চাকরির নিয়োগ পত্র দেওয়ার নাম করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিত।মূলত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে এই প্রতারনা চক্র ফেঁদে বসেছিল অভিযুক্তরা। আরো অনেককে এধরনের প্রতারনা করা হয়েছে তাদের তালিকা পাওয়া গেছে।তাদের সঙ্গেও কথা বলবে তনন্তকারীরা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন,এই তদন্তে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সাইবার সেল সাহায্য করেছে।গত এক মাসে সাইবার প্রতারনার ত্রিশ লক্ষ টাকা উদ্ধার ও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে হুগলি গ্রামীন পুলিশ।