অবতক খবর,৩০ ডিসেম্বরঃ আবারও ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজে গিয়ে মৃত্যু হল এক পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃতের নাম বাবন সেখ (২৪)। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দী মহকুমার খড়গ্রাম থানার বালিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সে এক বছর ধরে ঝাড়খন্ড রাজ্যে ভাঙরীর ফেরিওয়ালার কাজ করতো মাঝে মধ্যে বাড়ি আসতো। গত এক মাস আগে বাড়ি আসে। গ্রামের প্রতিবেশী তথা সহকর্মীদের থেকে পরিবার জানতে পেরেছেন, গত ২৮ শে ডিসেম্বর দুপুর ১২ টা নাগাদ ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পশ্চিম সিংভূম জেলার চাইবাসা মুফসি থানার পানচড়া গ্রামের জঙ্গলে খতবিক্ষত দেহ উদ্ধার চাইবাসা মুফসি থানার পুলিশ।

গ্রামে খবর পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। শেষবারের মত প্রিয় ছেলেটার মুখটা দেখার অপেক্ষায় পরিবার। বাবা আব্দুল বারি তিনি অসুস্থ। জানা যাচ্ছে,পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন বাবন সেখ।বাবনের মর্মান্তিক পরিণতি মেনে নিচে পারছে না পরিবার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে অন্ধকারে ডুবেছে গোটা পরিবার। প্রশাসন দেহটি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে। আজ শুক্রবার রাত্রি নাগাদ বাবনের কফিন বন্দি মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। কীভাবে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ঝাড়খন্ড রাজ্যের পুলিশ।বাবনের কাকা আলিম সেখ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন ।এক প্রতিবেশী বলছেন, অনেক দিন ধরেই ওঁ বাইরে কাজ করতেন। বাড়িতে তো আর কেউ সেভাবে রোজগার করার নেই। পরিবারের আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে। কীভাবে সংসার চলবে, সেটাই ব্যাপার। প্রশাসন যদি পাশে দাঁড়ায়, তাহলে ওঁদের খুব উপকার হয়।যদিও এলাকার বাসিন্দারা দেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। পিছিয়ে পড়া মুর্শিদাবাদ জেলার বহু যুবকই রুজির তাগিদে ভিন রাজ্য সহ দেশের বাইরে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। সেখান থেকে কেউ ফিরে আসেন আবার কেউ ফিরতে পারেন না। ঘরের ছেলেকে হারিয়ে গ্রামের মানুষের দাবি, সরকার যেন নিজের রাজ্যেই শিল্প স্থাপন করেন। যাতে আর কাউকে বাইরে গিয়ে এইভাবে প্রাণ দিতে না হয়।