এইসব মানুষ কোনোদিন জন্মেছিল বাংলায়।মাথা নত আসে শ্রদ্ধায়। একটা সুযোগ পাই এলে তাদের জন্মদিন।
কটি অক্ষরসজ্জায় শোধ হয় কি তার ঋণ?

ভাস্কর্য
তমাল সাহা

পাথরে খোদাই করে তৈরি হয় ভাস্কর্য।
হাতুড়ি ,ছেনি কত সব সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতি উঠে আসে তাহার হাতে।
আমি হাত দুটির দিকে তাকিয়ে দেখি
এই কিণাঙ্ক হাত সে পেলো কোথায়?
এই হাতেরই অঙ্গুলি সঞ্চালনে নির্মাণ হয় সাঁওতাল রমণী, সাঁওতাল পরিবার আরও কত মনীষার আকৃতি প্রকৃতি।

দেখি আর দেখি এ এক অনন্য বিস্ময়!
শেষ পর্যন্ত নির্মাণ থেকে চলে যাই দূরে
সামনে দাঁড়িয়ে দেখি সেই লাল মাটির কারিগরকে।
দেখি তার আকাটা দাঁড়ি-মুখ
পুরু নাকের বিভঙ্গ
গোলাকার চোখের মায়া
ঊর্ধ্বে ওঠা কেশদামের দুরন্তপনা—
ঋজু দেহ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এক অনুপম কারুকার্য।
বার বার দেখি আশ্চর্য জীবন শিল্পী
নিজেই এক প্রাণময় দুর্ধর্ষ ভাস্কর্য।

বোধের জন্ম হয়।ভাবি কে রাখে এই নাম!
কিসের অনুচর সে,কার সহচর?
আমার সামনে এসে দাঁড়ায়
স্পর্ধিত এ কোন অন্ত‍্যজ মানুষ!
শিল্প-সুন্দর ভয়ঙ্কর—
মাথা তুলে চেয়ে দেখি রামকিঙ্কর!