আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: অবতক খবর :: ৩১শে,ডিসেম্বর :: নয়াদিল্লি : ভারতের নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে। তিনি হয়েছেন ভারতের ২৮তম সেনাপ্রধান। মঙ্গলবার তিনি বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সেপ্টেম্বরে তিনি সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হয়েছিলেন। এর আগে সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কম্যান্ডারের প্রধান ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারবানে, ইস্টার্ন কমান্ডে রয়েছে ৪,০০০ কিলোমিটার চীন সীমান্ত।

৩৭ বছরের চাকরি জীবনে, সেনাবাহিনীর একাধিক পদের দায়িত্বে ছিলেন মনোজ মুকুন্দ নারবানে, এবং জম্মু ও কাশ্মির এবং উত্তর-পূর্ব ভারতেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

জম্মু ও কাশ্মিরে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারবানে, এবং ইস্টার্ন ফ্রন্টের পদাতিক বাহিনীরও দায়িত্বেও ছিলেন শ্রীলঙ্কায় শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্য ছিলেন তিনি এবং তিন বছর মিয়নামারে ভারতীয় দূতাবাসে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির সাবেক ছাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারবানে, এবং ভারতীয় মিলিটারি অ্যাকাডেমির সাবেক ছাত্র। তিনি “সেনা মেডেল” ও পেয়েছেন জম্মু ও কাশ্মিরে তার অসাধারণ নেতৃত্বের জন্য।

নাগাল্যান্ডে অসম রাইফেলসে (উত্তর) ইন্সপেক্টর জেনারেল পদে কাজের জন্য “বিশিষ্ট সেবা মেডেল” পেয়েছেন মনোজ মুকুন্দ নারবানে, এবং “অতি বিশিষ্ট সেবা মেডেল”ও পেয়েছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীতে কাজের জন্য।

এর আগে ভারতের প্রথম ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ’ (সিডিএস) হিসেবে নতুন দায়িত্ব পান সদ্য বিদায়ী সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। মঙ্গলবার সেনাপ্রধানের পদ থেকে অবসর নেন ৬৫ বছর বয়সী বিপিন রাওয়াত।

কয়েক দিন আগেই তিন বাহিনীর প্রধান হিসেবে ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ’ নামে নতুন পদ সৃষ্টি করেছে ভারত সরকার। আর সেই পদে এবার বসানো হয় বিপিন রাওয়াতকে।

ভারতে ২০ বছর আগের জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে ঘোষণা করা হয় চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সেই সিদ্ধান্ত নেয়। সোমবার সেই পদে বসানো হলো বিপিন রাওয়াতকে।

চলতি বছরে স্বাধীনতা দিবসে এই পদের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই ঘোষণা অনুযায়ী নতুন এই পদ তৈরি করা হল। স্থল, নৌ ও বিমান- এই তিন বাহিনীর প্রধান হবেন এই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন পদটি তৈরি হওয়ায় ভারতীয় সামরিক বাহিনীর কর্মপন্থা আরো মসৃণ হবে । ভারতীয় সামরিক তিন বাহিনী- স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখে অস্ত্র কেনা থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ ও কৌশলগত মোতায়েনের উপর নজর রাখবেন ‘চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ’ বা সিডিএস। বিশেষ করে, আণবিক শক্তিধর দেশ হওয়ায়, পারমাণবিক অস্ত্র তথা হামলা সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হবেন সিডিএস।