অবতক খবর,২৫ মে: ত্রেতাযুগে শুরু হয়েছিল দাহপর্ব। শ্রীলঙ্কা দহন করেছিল লেজে মশাল জ্বালিয়ে হনুমান। পুড়িয়ে দিয়েছিল রাবণের রাজপ্রাসাদ। আধুনিক যুগে অর্থাৎ এই কলিযুগেও দাহপর্ব শুরু হয়ে গেছে আবার শ্রীলঙ্কায়। সেখানে ৮ জন সাংসদকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষের প্রাসাদে আগুন লাগানো হয়েছে। সেই আগুন ভারত মহাসাগর পেরিয়ে ভারতবর্ষেও এসে পৌঁছেছে।

জতুগৃহ দাহ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বগটুই গ্রামে। এবার জনরোষে দাহপর্ব শুরু হলো অন্ধপ্রদেশে।
কোনাসীমা জেলার নাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে এই দাহপর্ব নেমে পড়ে ক্রুদ্ধ জনতা। অমলাপুরমে পরিবহন মন্ত্রী বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মুবিদিবরম বিধায়ক পি.সতীশের বাড়ি। অন্ধ্রে শুরু হয়ে গিয়েছে দাহপর্ব এবং জনরোষ। জানা গেছে,এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ২০ জন পুলিশ কর্মী।

এই সমস্ত বাস্তব ঘটনাবলি প্রমাণ করছে যে রাষ্ট্রীয় অপশাসন অরাজকতা যখন চরম সীমায় পৌঁছে যায় তখন জনতাই শক্তি, তারাই আইন নিজের হাতে তুলে নেয়। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষের এ ছাড়া আর কি উপায় আছে? এই সমস্ত ঘটনা থেকে নিশ্চিত বর্তমান যে সমস্ত রাজ্য রয়েছে ব যে সমস্ত শাসকেরা রয়েছে তাদের নিশ্চিত শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।

দেশজুড়ে এতো কামাইবাজি চলছে, দুর্নীতি চলছে, রাষ্ট্র নিজেই কামাইবাজ হয়ে গিয়েছে। মন্ত্রীরা নিজেরাই দুই হাতে পয়সা কামাচ্ছে,ফলত রাষ্ট্রীয় যে অপশাসন এখানেও চূড়ান্ত মাত্রায় পৌঁছেছে। ফলত নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।