ভারতবর্ষ বিপন্ন। ধর্মীয় অসহায়তা। দলিতের আর্তনাদ। রক্তস্নাত দেশ আমার! কেঁদে যায় সারা রাত….

ভারতবর্ষের রাত
তমাল সাহা

গাঁ- গঞ্জের অবস্থা খুব খারাপ।
সাত তাড়াতাড়ি ক্ষেত থেকে
ফিরে এলো নাজিবুর।

এবার ঝেঁপে বউল ধরেছে।
গাভীন সুখে হলুদ হয়ে আছে
আমগাছ।
আজ হরিনাথ নাজিবুরকে
দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ শোনাবে।

বার বারান্দায় তুলসীমঞ্চের কাছে
চাটাই পেতে দিল হরিনাথের মেয়ে।
বসলো হরিনাথ-নাজিবুর মুখোমুখি।
হ্যারিকেনের আলোয়
কাশীদাসী মহাভারতের ছায়া পড়েছে মাটিতে।

রাতে মন খারাপ করে
বাড়ি ফিরলো নাজিবুর। দুঃশাসনকে দেখতে পেলো ভারতবর্ষের মাঠে।
কৃষ্ণপক্ষে ঢেকে গেল আকাশের চাঁদ।

নাজিবুর সেই যে কাঁদতে শুরু করলো
আজও কেঁদে যায় নৈঃশব্দের রাতে—
হরিনাথের কন্ঠে পাঞ্চালীর আত্মকথন
ভেসে যায় ছিন্নমেঘের সাথে।