অবতক খবর, সংবাদদাতা :: ভাটপাড়া নৈহাটি কো-অপারেটিভ ব্যাংক এ গত সন্ধ্যায় ইডি ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বহু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই তদন্ত অভিযান । আটকে পড়েন ব্যাংকে কর্মরত সকলে। শেষে তারা ভাটপাড়া পৌরসভার ও ব্যাংক এর এগ্রিমেন্টের জরুরী নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে বলে ব্যাংক সূত্রে খবর।

তবে কি নিয়ে এত সব পুলিশি হানা কি নিয়ে তদন্ত মুখ খুলতে চাননি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ দু’পক্ষই।

সূত্রে জানা গেছে যে গত কয়েকমাস আগে পৌরসভার ও ব্যাংকের চুক্তিভিত্তিক কয়েকজনকে বেআইনিভাবে লোন দেওয়া হয়েছিল সেই লোনের টাকা নিয়ে একটি বড়সড় দুর্নীতির খবর উঠে এসেছিল।

তৃণমূল নেতা সোমনাথ শ্যাম দাবি করেছিলেন যে ব্যাংকের সঙ্গে মিলিতভাবে পৌরসভার ও কোআপরিটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকাকালীন অর্জুন সিং তাদের কিছু নিজের লোকেঁদের বেআইনি ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করে লক্ষ্য লক্ষ টাকা লোন করিয়ে দিয়েছেন । এই লোনের টাকা ব্যাংকে ফেরত আসছেনা। কো আপারেটিভ ব্যাংক তাদের লোনের টাকা ফেরত চাইতে গেলে যাদের নামের লোন দেয়া হয়েছে তারা পৌরসভার দিকে দেখিয়ে দেন। পৌরসভা সরকারের দিকে দেখিয়ে জানিয়ে দেয় সরকারি টাকা এলে তবেই তাদের কাজের টাকা দেওয়া হবে। সবটাই চলতে থাকে যতক্ষণ অর্জুন সিংএর ভাই পো সৌরভ সিং ভাটপাড়ার চেয়ারম্যান ছিলেন।

এদিকে তৃণমূল ভাটপাড়া পৌরসভা সংখ্যাগরিষ্ঠতা এনে দখল করে নেয়। অন্যদিকে অর্জুন সিং হাইকোর্টের নির্দেশে পুনরায় কো আপারেটিভ ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে চলে আসেন। তার পর নতুন খেলা শুরু হয়ে যায়।

সূত্রে জানা গেছে যে অস্ত্রে তৃণমূল ব্যাংকে ব্যবহার করে পৌরসভায় অর্জুনের ভাইপোর উপরে প্রেসার তৈরি করছিল টাকার জন্য সেই অস্ত্র ই অর্জুন ব্যবহার করতে শুরু করে দেন। কো-অপারেটিভ ব্যাংক তার লোনের টাকা পৌরসভার কাছে দাবি করে।

বর্তমানে ভাটপাড়ার পৌরসভার তৃণমূলের দখলে তৃণমূলের চেয়ারম্যানের কাছে পৌরসভার ও ব্যাংকের চুক্তি হয়েছিল তেমন কোন নথিপত্র নেই। তারা ব্যাংকের কাছে সমস্ত নথি পত্র চেয়ে পাঠালে  ব্যাংক তা পাঠাতে অস্বীকার করে দেয়।

সূত্রে জানা গেছে যে এমন অবস্থায় ব্যাংকের ও পুরসভার মাঝে কি চুক্তি হয়েছিল সেই তথ্য হাসিল করতেই তৃণমূল বোর্ড পুলিশ ও ই ডি কে ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে। ভাটপাড়ার নতুন চেয়ারম্যানকে এসব নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান এখন তদন্তের পর্যায় রয়েছে তাই কিছুই বলা যাবে না।

সবমিলিয়ে অর্জুন ভার্সেস তৃণমূল সরকারের লড়াই এখন চরমে। সরকার আইনী পথে অর্জুনকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করলেও এখন অর্জুন ব্যাংকের চেয়ারম্যান হয়ে যাওয়ায় অর্জুনই সরকার উপরে ভারি পড়ছেন।