অবতক খবর :নৈহাটি বিধানসভা ও বীজপুর থানার অন্তর্গত চাকলা ঠাকুরতলা থেকে একটু এগোলেই দেখা যাবে পুরনো পাঁচিল ঘেরা একটি পুকুর রয়েছে। কিন্তু সেটিও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আমরা ঘটনাস্থলে গেলে পুকুর মালিক চঞ্চল বাবু সেখানে এসে বলেন যে, এই পুকুরের মালিক আমি এবং আমি এটি ভরাট করছি। কোন আইনের তোয়াক্কা করি না।‌আমি আমার জমি ভরাট করতেই পারি। গলা উঁচিয়ে তিনি এই বক্তব্য রাখলেন।

যখন আমার প্রশ্ন করি যে, আপনাকে কে বলেছে পুকুর ভরাট করতে?
উত্তরে তিনি বলেন, আমার কাছে পুলিশ পারমিশন রয়েছে।

আমরা পাল্টা তাকে ওই জলাশয়ের কাগজ দেখাতে বলি।
তিনি বলেন, আমরা কোন কাগজ কাউকে দেখাবো না।

এরপর আমরা বিষয়টি বীজপুর থানায় জানাই অবশেষে থানা প্রশাসন সেখানে গিয়ে পুকুর ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেয়। ‌

শুধু তাই নয়,ওই পুকুর মালিক চঞ্চল বাবু বলেন সব সেটিং করা রয়েছে। আমি এ পুকুর ভরাট করবোই।

এমনকি পুলিশ সেখানে গেলে পুলিশকেও চঞ্চল বাবু কোন কাগজ দেখান নি।
পুলিশ একটু কড়া হলে তিনি বলেন আমি থানায় গিয়ে সমস্ত কাগজ দেখাবো।

তবে পুকুর ভরাট যেন একটি নতুন প্রকল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ যখন তখন যেখানে সেখানে পুকুর ভরাট হয়েই চলেছে। কি হবে এই বিজপুর তথা পশ্চিমবঙ্গের? পুকুর মাফিয়াদের ভাবখানা এমন যে,পুকুর ভরাট চলছে চলবে, কামাই বা যে কেউ রুখতে পারবে না।