অবতক খবর,১৯ এপ্রিল: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে ছাত্রছাত্রীরা জীবনের চলার পথে সঠিক দিশা পায়, পরিবেশকে কিভাবে বাঁচাতে হয় সেই শিক্ষা অর্জন করে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই। কিন্তু কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজেই যখন অনৈতিক কাজের সাথে লিপ্ত হয়, পরিবেশ রক্ষার পরিবর্তে পরিবেশ বিরোধী কাজ করে, তখন সমাজের কাছে কিন্তু একটি ভয়ঙ্কর বার্তা যায়।

হালিশহর ১ নম্বর ওয়ার্ডে বহু প্রাচীন একটি পুকুর অবস্থিত রয়েছে। যে পুকুরটি শেঠপুকুর নামেই এলাকায় পরিচিত। শেঠ পরিবারের সদস্যরা জমি এবং জমিতে অবস্থিত একটি পুকুর কাঁচরাপাড়া ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের কর্ণধার স্বর্গীয় সৌমিত্র মুখার্জীর কাছে বিক্রয় করেন। তারপরেই সৌমিত্র বাবু স্কুল নির্মাণের জন্য সমস্ত গাছ কেটে ফেলেন। পাশাপাশি পুকুর ভরাটের কার্যকলাপও চলতে থাকে। যদিও পুকুর ভরাটের কাজে এলাকাবাসীরা বাধা দিলে এবং পৌরসভায় জানালে তা বেশ কিছু দিনের বন্ধ হয়ে যায়।বর্তমানে সৌমিত্র বাবুর মেয়ে এবং জামাই এই ভরাটের কাজে যুক্ত আছেন বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ।

১ নম্বর ওয়ার্ডের শেঠের পুকুরের পার্শ্ববর্তীতে বসবাসকারীরা জানান, বর্ষাকালে বৃষ্টির সমস্ত জল এই পুকুরে এসে পড়ে। তাই এই পুকুর যদি কোনো কারণে বন্ধ হয়ে যায় তবে বর্ষাকালে এলাকার মানুষ সমস্যায় পড়বেন।

পাশাপাশি তারা আরো জানান, সে বহুদিন আগে হাজরার পেট্রল পাম্পে যখন আগুন লেগেছিল তখন ফায়ার ব্রিগেডের লোকেরা এই পুকুরের জলই সেই আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করেছিল। এলাকাবাসীদের একটাই আবেদন, যেন পুকুরটি কোন রকম ভাবেই ভরাট না করা হয়।

বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী তিনি সর্বদাই পুকুর ভরাটের বিপক্ষে। অর্থাৎ বিধায়ককে দেখা গেছে যে, বহু ভরাট পুকুর তিনি পুনরায় খনন করার ব্যবস্থা করেছেন। এখন এলাকাবাসীরা তাকিয়ে বিধায়ক সুবোধ অধিকারী পুকুর ভরাটের বিষয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।