অবতক খবর,১৪ ডিসেম্বর: ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ইন্দোনেশিয়া। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছি তেল ৭.৩ । স্থানীয় সময় ১০টা ২০ মিনিটে আচমকাই কেঁপে ওঠে মাটি। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ইউএসজিএস পর্যবেক্ষকরা ভূমিকম্পের পরে বিপজ্জনক সুনামির আশঙ্কা করছেন। ফলে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।

জানা যাচ্ছে,  ভূমিকম্পের প্রাবল্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় গোটা দেশে। ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ইন্দোনেশিয়ার মওমেরে শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে মাটির ১৮.৫ কিলোমিটার গভীরে। এই পরিস্থিতিতে প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, ওই উৎসস্থলের ১ হাজার কিলোমিটার উপকূল জুড়ে সুনামির বিপজ্জনক ঢেউয়ের দেখা মিলতে পারে।

ভূমিকম্পের প্রাবল্য সম্পর্কে  ইউএসজিএস জানিয়েছে, এই কম্পনে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কমই। এই এলাকায় সম্প্রতি যা ভূমিকম্প হয়েছে, তাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষয়ক্ষতিতে আসল ভূমিকা ছিল ভূমিকম্প-পরবর্তী সুনামি ও ভূমিধসের। আর এক্ষেত্রেও সুনামির আশঙ্কা রয়েছে তাই ক্ষয়ক্ষতিও খানিক হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইন্দোনেশিয়া এমনিতেই ভূমিকম্পপ্রবন দেশ। প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এমনিতেই জিওটেকটনিক শক্তির প্রাবল্য রয়েছে। শুধু তাই নয়। ইন্দোনেশিয়ার বিস্তার দুটি মহাদেশীয় পাত (ইউরেশিয়ান এবং অস্ট্রেলিয়ান প্লেট) এবং দুটি মহাসাগরীয়(ফিলিপিন্স সি ও প্যাসিফিক প্লেট) এর মধ্যবর্তী অংশে। কিন্তু ইউরেশিয়ান পাতের নিচে ভারত মহাসাগরীয় পাতের ক্রমাগত সরণ ও নিমজ্জিত হওয়ার ফলে বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় পরিণত হয়েছে ইন্দোনেশিয়া।

গোটা প্রশান্ত মহাসাগরীয় মেখলা অঞ্চলে সবথেকে বেশি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে এ দেশেই। যার ফলে কম্পন বা অগ্ন্যুৎপাত, প্লাবন, ভূমিধস বা সুনামি- লেগেই থাকে দেশজুড়ে। আর সামান্যতম শক্তির হেরফের ঘটলেই হতে পারে কোনও না কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়। বছরের পর বছর যার পুনরাবৃত্তি হয়েই চলেছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে। এই পরিস্থিতিতে সুনামি সতর্কতা ঘিরে ফের ঘনাচ্ছে আতঙ্ক।