অবতক খবর, বারাকপুর: বারাকপুর প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে ফের মোদি ও শাহের বিরুদ্ধে সরব হলেন কানাইয়া কুমার। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে খোলা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন “ভারত কারো বাবার জাগির নয় যে তিনি সকলকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবেন”। কানহাইয়া কুমার বলেন সারাদেশেকে সিএএ আইনটি সম্পর্কে মিথ্যে কথা বলা হচ্ছে । অমিত শাহ বলছেন, এটি সঙ্গে দেশের নাগরিকতা কেড়ে নেওয়ার সম্পর্ক নেই এতে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে ষড়যন্ত্র। কানহাইয়া কুমার বলেন, আগে অমিত শাহ  সারা দেশে রাজত্ব করার জন্য বারেবারে বলতেন তিনি বলতেন আগামী 50 বছর রাজত্ব করবে কিন্তু সারা ভারতবর্ষে 50 বছর রাজত্ব করার জন্য যে খেলাটি খেলার দরকার ছিল সেই খেলাটি তিনি হিন্দু মুসলমান করে খেলতে শুরু করে দেন।মানে ডিভাইড এন্ড রুল। তিনি সারা দেশকে হিন্দু আর মুসলমানের ভাগ করতে শুরু করে দেন।কারণ তারা স্বাধীনতার সময়ও ইংরেজদের দালালি করেছিলেন। আর তাই এখন নাগরিকতা হিন্দু ও মুসলমান নিয়ে, নাগরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন । কানহাইয়া বলেন দেশে সামনে তারা মুখ লুকোতে পারছিল না। একের পর এক সরকার ফেলিওর। রাজস্ব ঘাটতি বাড়ছে দেশে চাকরি নেই, বেরোজগারি বাড়ছে, দেশে আর্থিক অবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। কোনো উন্নয়নমূলক কাজ নেই, কল কারখানা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। সরকারের ওপর দেশবাসীর রাগ বড়চ্ছে ।তাই মানুষের এই সমস্ত দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য আর মানুষ যাতে প্রশ্ন না করতে পারে,তাই সারা দেশের 135 কোটি মানুষকে এই সরকার বিভ্রান্তির মুখে ফেলে দিলো। তাদের কাছে এখন নাগরিক তা প্রমাণ করার প্রশ্ন তুলে ধরেছে যাতে মানুষ এইটা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে।

বিজেপি সরকার মানুষের প্রশ্ন করার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে এরা মানুষের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ করেছে তাই আমরাআমাদের কথা বলার স্বাধীনতা,রোজগার,আর্থিক ও সামাজিক স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছি।আর এই আজাদী লড়াই করে প্রাপ্ত করবো। কানাইয়া কুমার জানান অমিত শাহের অর্থাৎ বিজেপির পূর্বপুরুষরা ইংরেজদের দালাল ছিল তারা দালালি করতে করতে এমন অবস্থায় হয়েছে যে তারাও ইংরেজদের মত বিভেদ তৈরি করে রাজত্ব করতে চাইছে।বিজেপি র পূর্ব পুরুষরা ইংরেজদেরকে লিখিত মুচলেকা দিয়ে ছিল যে তারা স্বাধীনতা আজাদি নিয়ে কোনদিন আন্দোলন করবে না। এনিযে কোনো কথা বলবে না। তারা মুচলেখা দেওয়া পার্টি । তাই তাদের মাথায় আজাদী শব্দ আতঙ্কের মত। এই শব্দ শুনলেই তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তারা এখনো ইংরেজদের দালালির ঐতিজ্য বহন করেচলেছে। তাদের মাথা আজাদী শব্দ শুনলেই খারাপ হয়ে যায়।