অবতক খবর,২৩ অক্টোবরঃ দীপাবলি ও কালীপুজো সঙ্গে পড়ায় মানুষ এই উৎসব নিয়ে বেশি মেতে উঠেছে। এই উৎসব দুটি আলোর উৎসব। মানুষ নিজের বাড়ি আলো দিয়ে সাজানোর জন্য আগেকার দিনে প্রদীপ ব্যবহার করা হতো। এখন সেখানে চায়না লাইটের প্রভাবে প্রদীপের বাজার পড়তে বসেছে। প্রচলিত আছে রাজা শ্রী রামচন্দ্র আজকের দিনে অযোধ্যা নিজের রাজ্যে ফিরেছিল বনবাস থেকে রাবণ বধ করে।

সেই আনন্দে সেই সময় রাজ্যের সবাই প্রদীপ জ্বালিয়ে আলোকিত করে রেখেছিল অযোধ্যা কে। সেই প্রথাই তখন থেকে শুরু হয় এবং মানুষজন আজকেও সেই প্রথা মেনে চলে। এই আনন্দের দিনটিকে স্মরণ করে রাখতে সারা বাড়ি মানুষ প্রদীপ মোমবাতি দিয়ে সাজিয়ে রাখত এখন সেই জায়গাটা নিয়েছে চায়না টুনি লাইট। প্রদীপের জন্য যে তেল লাগে তার দাম এতটাই বেড়ে গেছে এবং প্রদীপ জ্বালাতে যে খাটনি হয় তার অনেক কম খরচায় এবং সহজেই চায়না টুনি লাইট গুলো মানুষের হাতের কাছে পেয়ে যাচ্ছে।

যদিও একটা সময় এই চায়না টুনি লাইট ব্যান্ড হয়ে যাবার পরেও বাজারে সহজ প্রাপ্য হয়ে রয়েছে এখনো। বাড়িতে লাগালে দেখতেও সুন্দর লাগে এবং খুব সহজেই সেটা লাগানো যায়। যে কারণে মানুষ এই লাইফ টিকে বর্জন করতে পারছেন না। মাটির প্রদীপ বানানোর কুমোররা দীর্ঘ দু’বছর প্রতীক্ষার পরেও বাজারে সেভাবে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছে না। অনেক আশা নিয়ে বুক বেঁধে ছিল তারা যে এবারে তাদের বিক্রি বাট্টা ভালো হবে কিন্তু সে জায়গায় সেই তুলনায় বিক্রি না হওয়াতে তারা ভেঙে পড়েছে।