অবতক খবর,১৪ জুলাই: সাংসদ অর্জুন সিং-এর দেহরক্ষী। সাংসদের দেহ রক্ষী সাধারণত রাজ্য পুলিশ থেকেই নিয়োগ করা হয় এবং সাথে থাকেন কয়েকজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। কিন্তু ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং-এর যে দেহরক্ষীরা রয়েছেন তারা কেউই রাজ্য পুলিশ নন। তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। আর গত ৫ই জুলাই হালিশহর বোলদেঘাটার ঘটনার তদন্তে এই তথ্য হাতে পেয়েছে বীজপুর থানার পুলিশ।

মাথায় পুলিশের হেলমেট, হাতে লাঠি, গায়ে সাফারি সুট এবং পকেটে ওয়াকিটকি দেখে তো কারোর বোঝার উপায় নেই যে তারা পুলিশ নন।

হালিশহরে দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি সাংসদ অর্জুন সিং ও তাঁর দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। তাদের মধ্যে এক দেহরক্ষীর গ্রেপ্তারের পর উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সৌমিত্র চক্রবর্তী নামে ওই দেহরক্ষীর থেকে জানা যায় যে, সাংসদ অর্জুন সিং-এর যে দেহরক্ষীরা রয়েছেন তারা সকলেই তাঁর ভাইপো পাপ্পু সিং-এর সিকিউরিটি এজেন্সিতে কাজ করেন এবং তারা নিজেদের পুলিশ কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন।

আর হালিশহর কান্ডের পর সাংসদ অর্জুন সিং-এর একটি সাদা গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সেই গাড়িতে নীলবাতি লাগানো এবং পুলিশ লেখা।
ওই দেহরক্ষীরা সাধারণ এই গাড়িটিই ব্যবহার করত।

সেই গাড়িটি ব্যারাকপুরের গোয়েন্দা বিভাগ বীজপুর থানা থেকে বাজেয়াপ্ত করে এবং জানতে পারে সেই গাড়িটির মালিকও তাঁর ভাইপো পাপ্পু সিং।‌

এ প্রসঙ্গে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি জানান,”সাংসদের যে দেহরক্ষীরা নিযুক্ত রয়েছেন তারা কেউই পুলিশ নন,তারা সাংসদের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী।‌আর সৌমিত্র চক্রবর্তী নামে যে দেহরক্ষীকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে তিনি আসলে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। যিনি সাংসদের ভাইপো পাপ্পু সিং-এর সিকিউরিটি এজেন্সিতে কর্মরত ছিলেন। সেইরকমই আরও চার-পাঁচজন রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”