অবতক খবর, নদীয়া :    উত্তরবঙ্গর সাথে বাংলার সমন্বয়কারী প্রধান সড়ক পথ হল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। বর্তমানে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন বাধা অতিক্রম করে সম্প্রসারণের কাজ চলছিলো দ্রুততার সাথে। নদীয়া শান্তিপুর গোবিন্দপুর অঞ্চলে দীর্ঘদিন বর্ষার সময় এই রাস্তার উপর গর্ত এবং জল জমা, শীতকালে অত্যাধিক ধুলো নিয়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে অতীতে।

নদীয়া জেলা পরিষদ এবং পূর্ত বিভাগের সহযোগিতায় রাস্তার পাশে যাতে জল না জমে সেজন্য ড্রেন করে, অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছিলো , তাতে পথচলতি মানুষ এবং এলাকাবাসী প্রত্যেকে খুশি ছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু কালিবাড়ির একেবারে সামনে থেকে রেলের লেভেল ক্রসিং সন্নিহিত ৫০ মিটার মতো জায়গা জুড়ে সাংঘাতিক গর্ত, এবং রেল লাইন উন্মুক্ত হয়ে গেছে পিচের রাস্তা থেকে। ফলে বাড়ছে যানজট প্রতিদিনই। এত পরিমান জল এবং কাদা জমেছে, পায়ে হেঁটে যাবার কোনো পরিস্থিতি নেই, সাইকেল মোটরসাইকেল থেকে নেবে হাঁটিয়ে পার করতে হয় রাস্তারওই অংশটি। এরই মধ্যে চলছে ওভারলোড ১২ চাকা ১৬ চাকার লরি অথবা খিদিরপুর ডক থেকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার বিভিন্ন লোহার কন্টেইনার বা লরি ভর্তি বিভিন্ন সামগ্রী।

ট্রেন বন্ধ হওয়ার পর থেকে লাইনের মেরামতি বা অন্যান্য কাজের গতি হারিয়েছে দপ্তর। স্বভাবতই এ সময় রেল দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের জানিও কোন লাভ হচ্ছে না বলে দাবি করেন এলাকাবাসী। এমনকি তারা নিজেরাও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন ওই অংশটি পুরোটি কি রেল দপ্তরের? নাকি খানিকটা পূর্ত বিভাগেরও! যদিও বিশেষ সূত্রে জানা যায় পূর্ত দপ্তরের কাজ শেষ করে আজ থেকে প্রায় আট মাস আগেই, যদি তাদের জায়গা হতো তাহলেও ওইটুকু করে দিতে পারতো। কিন্তু এখানেও কেন্দ্র রাজ্যের দ্বন্দ্বে ভোগান্তি ভুগতে হচ্ছে পথচারী, নিত্তনৈমিত্তিক যাত্রীদের এবং এলাকাবাসীদের। এরকম পরিস্থিতিতেই গত বছর দুজনের মৃত্যু হয়েছিল দুর্ঘটনায়। এ বছরে লরির টায়ার বাস্ট করে অসুস্থ হয়েছিলেন এলাকারই দুজন।

নিত্য যাত্রীদের কাছ থেকে জানা যায়, ওই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চলাফেরা করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিধায়ক সাংসদসহ সরকারি দপ্তরের আধিকারিকগণ তাই তাদেরকে নতুন করে জানানোর কিছু নেই! প্রশাসন নড়েচড়ে বসে কারোর প্রাণহানি হলে, কিন্তু সমস্যার গোড়ায় সমাধান করেনা।