অবতক খবর,২২ মার্চ,দেবব্রত মন্ডল,বাঁকুড়া :- বেসরকারী সংস্থায় চাকরী দেওয়ার নাম করে প্রায় সত্তর জনের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা সংগ্রহ, সংগ্রহকারীকে ধরে বিক্ষোভ প্রতারিতদের। তৃনমূল নেতারা যুক্ত প্রতারিতদের এই দাবিকে ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তরজা ।

নির্দিষ্ট একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরী দেওয়ার নাম করে শিক্ষিত বেকার তরুন তরুনীদের লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। আজ হাতের কাছে সেই যুবকদের পেয়ে তাদের আটকে রেখে টাকা ফেরতের দাবিতে সরব হল প্রতারিতরা। ঘটনা বাঁকুড়ার ওন্দায়। এই চক্রে তৃনমূল নেতাদের একাংশের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে গতবছর একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরী দেওয়ার নাম করে বাঁকুড়ার ওন্দা থানার বিভিন্ন এলাকার শিক্ষিত তরুন তরুনীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলতে শুরু করে ওন্দা থানার রতনপুর এলাকার বাসিন্দা বুদ্ধদেব মালগোপ। মাথাপিছু পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা নগদ নিয়ে সংস্থার নামে রসিদও দেয় ওই যুবক। স্থানীয়দের দাবি শুধু বুদ্ধদেব মালগোপ নয় তার কয়েকজন সঙ্গীও এই ভাবে টাকা তুলেছিল ওই সংস্থার নামে। সংস্থার নামে স্ট্যাম্প পেপারে এগ্রিমেন্ট করে চাকরীপ্রার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হয় নির্দিষ্ট মাসিক বেতনের বিনিময়ে ওই তরুণ তরুনীরা ষাট বছর বয়স পর্যন্ত সংস্থার কাজে নিযুক্ত থাকতে পারবেন। অনেককে দিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থার নামে রাস্তায় রাস্তায় ও গ্রামে গ্রামে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করানো হয়। কিন্তু অভিযোগ ওই সংস্থার কথামতো কয়েকমাস কাজ করলেও মাস শেষে প্রতিশ্রুতিমতো বেতন মেলেনি। এরপর ওই তরুণ তরুনীদের জানানো হয় আপাতত সংস্থার কাজ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এরপরই ওই তরুণ তরুনীরা বুঝতে পারেন তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। আজ ওন্দা বাজারে বুদ্ধদেব মালগোপ সহ তার সঙ্গীদেরকে দেখতে পেয়ে তাদের ঘিরে রাখে প্রতারিতরা। চাকরীর নামে দেওয়া টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত ওই যুবকদের আটকে রাখা হবে বলে জানিয়েছে প্রতারিতরা। বুদ্ধদেব মালগোপের দাবি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে ওই সংস্থায় তারাও চাকরী পেয়েছিল। সংস্থার আধিকারিকদের কথামতোই তারা এলাকার তরুণ তরুনীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। সে হিসাবে তারাও প্রতারিত।

এদিন প্রতারিতদের একাংশের অভিযোগ এই প্রতারনার সাথে যুক্ত রয়েছে স্থানীয় তৃনমূলের একাংশ। ঘটনার সাথে তৃনমূলের নাম জড়ানোয় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। এই ঘটনার সাথে তৃনমূল যোগ অস্বীকার করেছে তৃনমূল নেতৃত্ব। বিজেপির কটাক্ষ এই ধরনের প্রতারনার সাথে যুক্ত থাকা তৃনমলের সংস্কৃতি।