অবতক খবর: বেঙ্গালুরুতে মেগা বৈঠকে বসেছে বিরোধীরা। এই বৈঠকে বিরোধীরা একছাতার তলায় আসার উদ্যোগে I-N-D-I-A বা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স নামে একজোট হতে পারে।এবার আর UPA নাম নিয়ে যে বিরোধীরা একছাতার তলায় আসছে না, তা একপ্রকার ঠিকই ছিল। পরিবর্তে সময়ের দাবি মেনে বিরোধীরা নতুন কোনও নাম বেছে নিতে চাইছিল।

সেই মতই নতুন বিরোধী জোটের নাম প্রস্তাবের খবর সামনে আসছে। I-N-D-I-A বা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স নামে একজোট হতে পারে বিরোধীরা।২৬ বিরোধী দলের মেগা ফ্রন্টের বৈঠকে চব্বিশের লোকসভা ভোটে নতুন জোটের নামে এমনই প্রস্তাব সামনে এসেছে। ২০২৪-এর বিজেপির বিজয়রথ থামাতে কোন কৌশলে লড়াই করা যায়, তা ঠিক করতে আজ বেঙ্গালুরুতে মেগা বৈঠকে বসেছে বিরোধীরা।

জানা গিয়েছে, UPA-র প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীকে ফ্রন্টের নতুন সভাপতি ঘোষণা করা হতে পারে। আহ্বায়ক হতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউনাইটেড প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের চেয়ারপার্সন থেকেছেন সনিয়া।

এবার আর UPA নামে লড়াই করবে না বিরোধী দলগুলি। শুধু তা-ই নয়, নতুন বিরোধী জোটে দুটি সাব কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। তার মধ্যে একটি কমিটি নির্ধারণ করবে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি এবং পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। অপর কমিটি ঠিক করবে, বিরোধীদের যৌথ অনুষ্ঠান, সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদি।

বেঙ্গালুরুতে বিরোধী বৈঠকের দিকে এখন নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। কারণ, এই বৈঠকের সাফল্য বা ব্যর্থতার উপর ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের অনেক কিছু নির্ভর করছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। গুরুত্বপর্ণ এই বৈঠকে শামিল হয়েছেন- সনিয়া গাঁধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাহুল গাঁধী, মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন, নীতিশ কুমার, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, হেমন্ত সোরেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব।

গতকাল প্রথম দিনে সাধারণ আলোচনা হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। নৈশভোজ সারেন বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে, আজ রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের জন্য মুখোমুখি হয়েছে ২৬টি দল। মহাজোটের কী নাম দেওয়া হবে তাও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। গতকাল সব রাজনৈতিক দলের নেতার কাছ থেকে নতুন নামের প্রস্তাব চাওয়া হয়। সেই অনুযায়ী নাম নিয়ে আলোচনা করে ঐক্যমতে আসা হবে বলে ঠিক হয়।

তবে, বিরোধী বৈঠকের প্রথম দিনে দেখা যায়নি এনসিপি-র শরদ পাওয়ার, জনতা দল সেকুলার এর নেতা এইচ ডি কুমারস্বামীকে। যদিও আজ বেঙ্গালুরু পৌঁছেছেন পাওয়ার। কুমারস্বামী এই বৈঠকে থাকবেন কি না তা স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলছেন, “যে সব দলের বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার ইচ্ছা ও দম আছে, তাদের এই শিবিরে স্বাগত।”