অবতক খবর,৯ ডিসেম্বর,রুপম রায়/সম্পা দাম পাল, নদীয়া: রক্তের হয়না কোনো বিকল্প। রক্ত তৈরি হয় না কোন কলকারখানায়। এখন এক বোতল রক্ত প্রাণ বাঁচাতে পারে তিনজন মানুষের। করোনাকালীন এই পরিস্থিতিতে চারিদিকে রক্তের হাহাকার। রক্তের সেই চাহিদা মেটাতে চারিদিকে চলছে রক্তদান শিবির। যাতে রক্তের এই সংকটকালে রক্তের অভাবে যেন কোন মানুষ প্রাণ হারান।

কিন্তু এই সমাজে কিছু অসাধু মানুষ আছেন যারা রক্ত নিয়েও ব্যবসা করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তারা চিন্তা করছেন না মুমুর্ষ রোগীদের কথা, তারা চিন্তা করছেন না সেই রোগীর পরিবারের মানুষের কথা। মুমূর্ষ রোগীর পরিবার রক্তের কার্ড নিয়ে, এমন কি ডোনার নিয়ে পর্যন্ত নিজের পরমাত্মীয়কে বাঁচানোর জন্য এক বোতল রক্ত পাচ্ছেন না। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন! ঠিক এইরকমই দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে নদীয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাংক। এমনই অভিযোগ তুলেছেন বেশ কয়েকজন মুমুর্ষ রোগীর পরিবার।

তাদের অভিযোগ তারা রক্তের কার্ড নিয়ে তো নয় বরং ডোনার নিয়ে গেলেও মিলছেনা রক্ত। কিন্তু সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে বহু দালাল। তাদের কাছে পজিটিভ রক্তের মূল্য ১ হাজার টাকা এবং নেগেটিভ রক্তের মূল্য দুই হাজার টাকা। টাকা দিলেই মিলবে আপনার চাহিদামত রক্ত এবং আপনি বাঁচাতে পারবেন আপনার আত্মীয়র প্রাণ। অর্থাৎ স্বাভাবিক নিয়মে মিলছে না রক্ত। সেখানে চলছে রক্তের কালোবাজারি।

তবে এসবের কি কিছুই জানেনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? হ্যাঁ, তারা সবই জানেন। তবে প্রকাশ্যে কেউই মুখ খুলতে চাইছেন না। কারণ এখানে জড়িয়ে রয়েছে উঁচু থেকে নিচু তলার সমস্ত কর্মীরা।

শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চড়া দামে বিকোচ্ছে রক্ত। গরিব মানুষদের সেই রক্ত কেনার সামর্থ্য নেই। তাহলে কি করবেন তারা? কার কাছে যাবেন এই অভিযোগ নিয়ে? এই প্রশ্নই তুলেছেন দুঃস্থ অসহায় রোগীর পরিবারের লোকজন।

তবে ব্লাড ব্যাংকে যে রক্ত নেই তা কিন্তু নয়। সেই রক্ত ব্লাড ব্যাংকের কিছু অসাধু ব্যক্তিরা সরিয়ে নিচ্ছেন কালোবাজারি করবেন বলে এবং বাইরে তা বিক্রি করে দিচ্ছেন। ঠিক এই অভিযোগ তুলেছেন বেশ কয়েকজন রোগীর পরিবার।