অবতক খবর,২৪ নভেম্বরঃ কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে, লেনদেন হচ্ছে, তোলাবাজি হচ্ছে, বেআইনি ব্যবসা হচ্ছে, কোটিপতি লোক রয়েছে এখানে, কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো বীজপুরে একটাও আইসিইউ আ্যাম্বুলেন্স নেই। কি? শুনে অবাক লাগছে তো! কিন্তু বীজপুর বিধানসভার এটাই বাস্তব সত্য।

আপনি বা আপনার পরিবারের যদি কেউ আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকেন তাহলে আপনাকে কল্যাণী থেকে অ্যাম্বুলেন্স আনাতে হবে অথবা বাইরের কোনো অঞ্চল থেকে অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে হবে। কিন্তু তার জন্যও আপনাকে মোটা টাকা গুনতে হবে। ‌

উন্নয়ন উন্নয়ন আর উন্নয়ন! চারিদিকে বড় বড় তথাকথিত নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে শুধু উন্নয়নের কথা। কিন্তু এমনই উন্নয়ন হচ্ছে যে,মুমূর্ষ রোগীর জন্য একটি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা নেই এই বিধানসভায়। তবে কি মানুষ মরে যাবে তারপরে উন্নয়ন হবে? জরুরী পরিষেবার জন্য এই বিধানসভায় নেই কোন হাসপাতাল। এই বিধানসভার মানুষ মুমূর্ষ রোগীদের নিয়ে ছোটেন কল্যাণীতে। আর জনপ্রতিনিধিদের মুখে শুধু বড় বড় উন্নয়নের কথা।

‘আই লাভ কাঁচরাপাড়া’, ‘আই লাভ হালিশহর’ তৈরি করে দিলেই কি সেটা উন্নয়ন? নাকি পার্কের সৌন্দর্যায়ন করাটা উন্নয়ন? এইসব তথাকথিত নেতাদের কাছে উন্নয়নের অর্থটা কি? প্রকৃত অর্থে যাকে পরিষেবা বলা হয়, সেই পরিষেবা কি পাচ্ছেন এই বিধানসভার মানুষ?

এই দিকগুলি দেখতে সাংসদ থেকে শুরু করে বিধানসভার দায়িত্বে যিনি রয়েছেন অর্থাৎ বিধায়ক এবং নগর প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিরা কেউই এগিয়ে আসছেন না!

সরকারিভাবে তো একটি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন। কারণ বেসরকারি ক্ষেত্রে তো মানুষকে এর জন্য মোটা টাকা দিতে হয়। যারা গরীব মানুষ, যাদের কাছে টাকা নেই, তারা কোথায় যাবে? অর্থ না থাকার কারণে কি তারা সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে?

সাধারণ মানুষ চাইছেন সরকারিভাবে একটি আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হোক এবং একটি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হোক। মানুষ আমাদের কাছে তাদের এই সমস্ত অভিযোগ জানাচ্ছেন এবং তারা চাইছেন, আমরা সংবাদের মাধ্যমে এই কথাগুলি সরকারি ক্ষেত্রে তুলে ধরি। যাতে বিষয়টি জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টিগোচর হয়।

বীজপুরে তো খেলা-মেলা সবই হচ্ছে। তবে মানুষের স্বাস্থ্যের দিকে নজর পড়ছে না কেন? স্বাস্থ্য বিষয়ক চিন্তাধারা তো কারোর মধ্যে নেই! দু-একটি রক্তদান শিবির, চক্ষু পরীক্ষা শিবির করে খাওয়া-দাওয়া করে কি সব হয়ে যায়? স্থায়ী কোন ব্যবস্থা হবে কবে এই বিধানসভায়? এই প্রশ্নই তুলেছেন বীজপুরের দিন আনা দিন খাওয়া গরীব মানুষ।